এমনিতেই নেশা করেন। উপরন্তু বিয়ে করার আনন্দ। তাই বিয়ের দিন মনের সুখে মদ খেয়েছিলেন এক যুবক। আর সেই নেশার ঘোরে পাত্রীর বাড়ি যাওয়ার কথাই ভুলে গেলেন তিনি। হুঁশ ফিরল পরের দিন। হন্তদন্ত হয়ে ছুটলেন বিয়ের মণ্ডপে। কী হল তারপর? আসুন শুনে নিই।
নেশার ঘোরে নিজের বিয়েই ভুলে গেলেন যুবক। ওদিকে তাঁর জন্য সারারাত অপেক্ষা করল পাত্রীপক্ষ। নেশার ঘোর কাটলে, হাজির হলেন বিয়ের মণ্ডপে। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। চূড়ান্ত বিরক্ত হয়ে বিয়েটাই ভেঙে দিলেন পাত্রী।
আরও শুনুন: পালক থেকে সেক্স টয়… যৌন ‘ফ্যান্টাসি’ নিয়ে লিখতে হবে নিবন্ধ, স্কুলে হোমটাস্ক পড়ুয়াদের
ঘটনাটি বিহারের। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, সে-রাজ্যে মদ বিক্রি কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। অথচ সেখানেই ঘটেছে এই অদ্ভুত কাণ্ড। জানা গিয়েছে, ওই যুবক ভাগলপুর জেলার এক গ্রামের বাসিন্দা। বিয়ে ঠিক হয়েছিল পাশের গ্রামে। বিহারের অধিকাংশ বিয়েতেই শোভাযাত্রা করে বরকে কনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চল রয়েছে। এই যুবকের পরিবারও তেমনই ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু সেসব নিয়ে কোনও মাথাব্যথা ছিল না হবু বরের। তিনি তখন বন্ধুদের সঙ্গে নেশা করতে ব্যস্ত। এভাবেই কখন যে মাত্রাতিরিক্ত নেশা করে ফেলেছেন, খেয়ালই করেননি তিনি। ফলত নেশার চোটে বিয়ের মণ্ডপে যাওয়ার কথাও বেমালুম ভুলে যান। ওদিকে বরের জন্য সারারাত অপেক্ষা করতে থাকে পাত্রীপক্ষের লোকজন। কোনও খবর না পেয়ে রীতিমতো চিন্তায় পড়ে যান তাঁরা সকলেই। দেখতে দেখতে সকাল হয়। এমন সময় শোভাযাত্রা নিয়ে সেখানে হাজির বরপক্ষ।
আরও শুনুন: রিলস বানানো যাবে না মেট্রোর কামরায়, জারি নিষেধাজ্ঞা
এরপরই ঘটে আসল ঘটনা। দেরি হওয়ার কারণ জানতে পারেন পাত্রী-সহ তাঁর পরিবারের সকলেই। সব শুনে বেজায় চটে যান তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে বিয়ে বাতিলের সিদ্ধান্ত নেন খোদ পাত্রী। তাঁর বাড়ির লোকজনও সেই সিদ্ধান্তে সম্মতি জানায়। তবে এখানেই শেষ নয়, গোটা বরযাত্রীর দলটিকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখেন তাঁরা। বিয়ের আয়োজন করতে যা খরচ হয়েছে অবিলম্বে তা ফেরানোর দাবি তোলেন। গ্রামের অন্যান্য বাসিন্দারাও ঘটনার জেরে বেজায় বিরক্ত হয়েছিলেন। তাঁরাও পাত্রীপক্ষের সুরেই সুর মেলান। অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তাঁরাই সকলের সামনে অপমান করে বাড়ি পাঠিয়ে দেন ওই যুবক ও তাঁর বাড়ির লোকজনকে। নেশার ফলাফল যে কী মারাত্মক হতে পারে, এই যুবক বোধহয় তা হাড়ে হাড়েই টের পেলেন।