চলতি জনপ্রিয় গানে মেলা থেকে বউ এনে দেওয়ার আকুতি শোনা গিয়েছিল। কিন্তু সেরকম কোনও কাকুতিমিনতির ধারই ধারেননি এই ব্যক্তি। বউকে পাওয়ার জন্য সোজা মোবাইল টাওয়ারের মাথায় চড়ে বসেছেন তিনি। কী ঘটেছে তারপর? আসুন, শুনে নেওয়া যাক সেই কাণ্ড।
সম্প্রতি বিয়ের দাবিতে প্রেমিক বা প্রেমিকার বাড়ির সামনে ধরনায় বসার ঘটনা শোনা গিয়েছে বারবার। ফের যেন ঘটল তেমনই এক কাণ্ড। তবে এবার ঘটনাস্থল বাংলা নয়, মহারাষ্ট্র। আর এখানে উদ্দিষ্ট মানুষটি প্রেমিকা নন, বরং বিয়ে করা স্ত্রী। আর সেই বউকে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজের কাছে ফিরিয়ে আনার দাবিতেই অভিনব প্রতিবাদে শামিল হলেন এক ব্যক্তি। সোজা একটি মোবাইল টাওয়ারের মাথাতেই চড়ে বসলেন তিনি। এমন এক কাণ্ড দেখে ভিড় জমিয়ে ফেলেন সেখানকার সাধারণ মানুষেরাও। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এমনকি হাজির হয় দমকল বাহিনীও। সব মিলিয়ে বউ ফেরত পাওয়ার জন্য রীতিমতো হুলুস্থুল কাণ্ডই বাধিয়ে বসেছিলেন ওই ব্যক্তি।
আরও শুনুন: পোষা মোরগের শ্রাদ্ধ করলেন মালিক, ভোজ খেলেন ৫০০ গ্রামবাসী
জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের দাভাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির নাম গণপত বকাল। সম্ভবত কোনও পারিবারিক অশান্তির জন্যই শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে নিজের পিতৃগৃহে ফিরে গিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। আর তাঁকে ফিরে পেতেই এবার মরিয়া স্বামী। সোজা পথে কাজ না হওয়ায় এহেন পথ বেছে নিয়েছেন তিনি। উপস্থিত গ্রামবাসীদের অবশ্য মত, বলিউডের বিখ্যাত সিনেমা ‘শোলে’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই এহেন কাণ্ড ঘটিয়েছেন ওই ব্যক্তি। সিনেমার পর্দায় দেখা গিয়েছিল, বাসন্তী অর্থাৎ হেমামালিনীকে বিয়ে করার দাবিতে সোজা একটি জলের ট্যাংকের মাথায় উঠে পড়েছিলেন বীরু-রূপী ধর্মেন্দ্র। আর সেখান থেকেই সরাসরি হুমকি দিয়েছিলেন, এই বিয়ে না হলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হবেন তিনি। বাস্তবে প্রায় সেরকমই ঘটনা ঘটিয়ে বসেছেন এই ব্যক্তি। কেবল জলের ট্যাংকের জায়গা নিয়েছে মোবাইল ফোনের একটি একশো ফুট উঁচু টাওয়ার। শেষমেশ উপস্থিত সকলের কাছ থেকেই আশ্বাস মিলেছে, এই যুগলের দাম্পত্য কলহ মেটাতে প্রাণপণ চেষ্টা করবেন তাঁরা। আর সেই প্রতিশ্রুতি হাতে করেই টাওয়ার থেকে মাটিতে পা রেখেছেন ওই ব্যক্তি।
আরও শুনুন: ৭ ঘণ্টায় ৭৫ বার গাইলেন জাতীয় সঙ্গীত, দেশকে ভালবেসেই বিশ্বরেকর্ড তরুণীর
মদ্যপান না করেও নেশাগ্রস্তের মতো আচরণ করে এমন আজব কাণ্ড ঘটিয়েছিল সিনেমার চরিত্রটি। বাস্তবের এই ব্যক্তির ক্ষেত্রে অবশ্য সে কথা বলা চলে না। পুলিশ সূত্রে খবর, নেশার ঘোরেই এহেন ঘটনা ঘটিয়ে বসেছেন ওই ব্যক্তি। আর সেইজন্যেই বউ ফিরুন না ফিরুন, তাঁর নিজের বাড়িতে ফেরাই অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়িয়েছিল। প্রাণ নিয়ে নিচে নেমে এলেও, তাঁকে আটক করে পুলিশ। পরে অবশ্য মুক্তি পান তিনি। স্বামীর এহেন কীর্তিকলাপে স্ত্রী বাড়ি ফিরে আসবেন কি না, সেটাই এখন দেখার।
দেশ বিদেশের একাধিক পুরস্কার রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। শুনে নিন।
কোন কোন ভাষার বই পড়েছেন তিনি? শুনে নিন।
বনভূমি পুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ! শুনে নিন তাঁদের কথা।
হঠাৎ কেন এই উদ্যোগ? শুনে নিন।
ঠাকুরের অদ্বৈতজ্ঞানের অপূর্ব ভাব... শুনে নিন।
কেন উঠেছিল এই বিতর্ক? শুনে নিন।
কেউ বলে শিবের আবাস, কেউ বলে দেখা মেলে সপ্তর্ষিরও। শুনে নিন।
