মানুষের কামড়ে জখম কুকুর! এমনটা শুনেছেন কখনও? শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। বাস্তবে ঘটেছে ঠিক এমনটাই। গ্রেপ্তারি এড়াতে পুলিশের কুকুরকেই কামড়ে দিলেন এক মদ্যপ ব্যক্তি। তার আক্রমনের জেরে হাসপাতালে ভরতী হতে হল ‘কর্তব্যপরায়ণ’ কুকুরটিকে। কোথায় ঘটেছে এই কান্ড? আসুন শুনে নিই।
সাংবাদিকতার ভাষায় এক অতি প্রচলিত উপমা রয়েছে, ‘কুকুর মানুষকে কামড়ালে তা খবর নয়, কিন্তু মানুষ কুকুরকে কামড়ালে তা অবশ্যই খবর।’ ঘটনার গুরুত্ব অনুযায়ী তা সংবাদমূল্য নির্ধারিত হবে, একথা বোঝাতেই এই সহজ উপমা ব্যবহার করতেন জ্ঞাপন্তাত্ত্বিকরা। কিন্তু বাস্তবে যদি সত্যিই এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে তা খবর না হয়ে উপায় কোথায়!
ঘটনাটি মার্কিন মুলুকের। সেখানকার এক বাসিন্দাই এক অদ্ভুত কাণ্ড ঘটিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন। অভিযুক্তের নাম জামাল উইং। বছর ৪৭-র এই ব্যক্তি ডেলাওয়ারের উইলমিংটনের বাসিন্দা। কিছুদিন আগে লাডেলফিয়া পাইকের কাছে রোলিং রোডে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন উইং। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো অধিকাংশ দেশেই বে-আইনি। মার্কিন মুলুকে তো বটেই। তার ওপর রীতিমতো জোরেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন উইং। গতিসীমা লঙ্ঘন করায় তাঁর গাড়ির পিছনে ছুটে আসে ট্রাফিক পুলিশের একটি গাড়ি। উইংকে তক্ষনি গাড়ি থামার নির্দেশ দেন তাঁরা। গাড়ি দাঁড়ায় বটে, তবে গাড়ি থেকে নেমে ছুটে পালানোর চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি। তাঁকে ছুটতে দেখেই পিছনে ধাওয়া করে পুলিশ কুকুর ‘মাকো’। তখনই ঘটে চমকে দেওয়া কাণ্ড।
অভিযোগ, পুলিশ কুকুর মাকো কাছাকাছি পৌঁছতেই তাকে কামড়ে দেন উইং। বিশে কিছুক্ষণ কুকুরের সঙ্গে ‘হিংস্র’ তাঁর পাশবিক সংঘর্ষ চলে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ উইং-এর নাগাল পেলেও কর্তব্য পালন করতে গিয়ে জখম হয় মাকো। আহত হন দুই পুলিশকর্মীও। তাঁদের প্রত্যেককেই হাসপাতালে ভরতি করতে হয়। গোটা ঘটনায় উইং নিজেও চোট পান। তাঁকেও প্রাথমিক ভাবে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে পুলিশের গায়ে হাত তোলা, খুনের চেষ্টা, পশু নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় বেজায় অবাক পুলিশ মহলের সকলেই। কোনও মানুষ যে নিজেকে বাঁচাতে কুকুরকেও কামড় দিতে পারেন, তা দেখে স্তম্ভিত গোটা নেটদুনিয়াও।