আধুনিক সময়ের ব্যস্ত জীবনে দীর্ঘায়ু হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমশ কমছে। একদিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি মানুষের সহায়ক হয়েছে। অন্যদিকে লাইফস্টাইলের কারণে আচমকা মৃত্যু এসে হানা দিচ্ছে জীবনে। এই পরিস্থিতিতে যাঁরা শতায়ু হয়েছেন, তাঁরা পরামর্শ দিচ্ছেন দীর্ঘ এবং সুস্থ জীবনের। তবে জনৈক শতায়ু মহিলা এ ব্যাপারে যা পরামর্শ দিলেন, তাতে অবাক হয়েছেন প্রায় প্রত্যেকেই। কী পরামর্শ তাঁর? আসুন শুনে নিই।
দীর্ঘ জীবনের রহস্য কী? এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজের অনেকেই। যাঁরা শতায়ু বা দীর্ঘ জীবনের অধিকারী তাঁরা বলেন, জীবনশৈলীর বদলই হল সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম যেমন দরকার, তেমনই জোর দেওয়া উচিত ব্যায়ামে। এমন পরামর্শই সচরাচর মেলে। তবে ব্রিটেনের এক শতায়ু মহিলা যা পরামর্শ দিয়েছেন, তাতে সকলেই অবাক হয়েছেন। মহিলার দাবি, অচেনা মানুষের সঙ্গে কথা না বলাই তাঁর শতায়ু হওয়ার অন্যতম কারণ।
আরও শুনুন: দেড় বছর ধরে একটানা জ্বলছে সাত হাজার আলো, অদ্ভুত বিভ্রাট স্কুলে
সদ্যই বয়সের ক্যালেন্ডারে একশোর ঘরে পা দিয়েছেন অলিভ ওয়েস্টারম্যান। আর শতায়ু হয়েই তিনি জানিয়েছেন, কোনও অচেনা মানুষের সঙ্গে তিনি কথাবার্তা বলতেন না। যতটা সম্ভব তাঁদের এড়িয়ে চলতেন। আর সেটাই তাঁর দীর্ঘ জীবন লাভের গোপন রহস্য। ব্যাপারটায় খটকা লেগেছে অনেকেরই। কিন্তু অলিভ তাঁর সিদ্ধান্তে অনড়। বলেছেন, তাঁর যে একশো বছর বয়স হল, তা যেন তিনি ভাবতেই পারছেন না। আবার শতায়ু হওয়ার দরুন স্বয়ং রাজার থেকে বিশেষ বার্তা পেয়েছেন তিনি। তাতে তিনি উচ্ছ্বসিত। আর তাই তাঁর সাফ কথা, অচেনা মানুষের সঙ্গে যত কম কথা বলা যায় । তাতেই ভালো থাকবেন সকলে। তাঁর জীবনযাত্রার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, সুস্থ থাকার সবথেকে বড় রহস্য হল সুখী থাকা। মনেপ্রাণে ভালো থাকা। আর তাই তিনি যতটা পেরেছেন, বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন। তাতে শরীরের বয়স বাড়লেও মনে মনে তাজা এবং সবুজ থেকেছেন তিনি। তাঁর মতে মনের বয়স ধরে রাখার এটাই চাবিকাঠি। আর কেউ যদি অন্তরে সুখী হয়, তাহলেই তিনি পৌঁছে যেতে পারেন দীর্ঘ জীবনের দোরগোড়ায়।
আরও শুনুন: কনে নেড়া হলে তবেই বিয়েতে রাজি পাত্র, অদ্ভুত প্রথার নেপথ্য কারণ চমকপ্রদ
তাঁর এই ব্যাখ্যা অবশ্য মনে ধরেছে অনেকেরই। বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলা মানেই নানারকমের মতামতের চোখে নিজেকে দেখতে শুরু করা। এ কথা মানেন অনেকেই। তাতে টেনশন বাড়ে। কে কী বলল, কে কী ভাবল- এই সব চিন্তায় কখনও কখনও নেগেটিভ ভাইব এতটাই গ্রাস করে ফেলে আমাদের যে পড়তে হয় অবসাদের কবলে। তাতে নিজের সুখ-শান্তি নষ্ট হয়। আর প্রভাব পড়ে মনে। একবার মন বুড়িয়ে গেলে, জরার থাবা কেউই অতিক্রম করতে পারেন না। আর তাই জরুরি হল মনের দিক থেকে সতেজ থাকা। বাচ্চাদের সঙ্গে মেলামেশায় সেভাবেই সতেজ থেকেছেন শতায়ু অলিভ। আর সেই পরামর্শই তিনি দিচ্ছেন সকলকে।