জিভের আকার অস্বাভাবিক রকমের বড়। আস্ত একটা সোডা ক্যানও ছোট মনে হবে সেই জিভের পাশে। আর এমন অদ্ভুত মাপের জিভের জোরেই বিশ্বরেকর্ডের খাতায় নাম তুলেছে এক কুকুর। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। বিশ্বের সবথেকে বড় জিভের মালিক সে-ই। কোথায় রয়েছে এমন কুকুর? আসুন শুনে নিই।
কতশত আজব ঘটনার দলিল বিশ্বরেকর্ডের খাতা। কার রয়েছে সবথেকে বড় চুল, কে দৌড়তে পারে সবচেয়ে দ্রুত এই সব কিছুরই হদিশ মেলে সেই খাতায়। কিন্তু জিভের জোরেও যে কেউ বিশ্বরেকর্ড করতে পারে তা হয়তো অনেকেরই কল্পনাতীত।
আরও শুনুন: বয়স ৯৫, উপার্জন বিয়েবাড়িতে ঢোল বাজিয়ে, তবু মুখের হাসি মিলিয়ে যায়নি জীবনরসিক বৃদ্ধের
তবে বাস্তবে এমনটাই করে দেখিয়েছে এক চারপেয়ে প্রাণী। সাধারণ এক কুকুর কিন্তু তাঁরই রয়েছে অসাধারণ এক বৈশিষ্ট্য। কারণ তার জিভের মাপ ৫ ইঞ্চি। কোনও প্রাণীর জিভ যে এত বড় হতে পারে তা বোধহয় ভাবাই যায় না। কিন্তু এই কুকুরটিকে দেখলে সেই ধারণা বদলাতে বাধ্য। মার্কিন মুলুকের এক পরিবারে বড় আদরের পোষ্য এই চারপেয়ে জন্তুটি। যদিও অন্যান্য পশুপ্রেমীদের মতো তার মালিকও ঠিক জন্তু হিসেবে দেখেন না। তাঁদের কাছে সে আদরের জোয়ি। মাত্র ৬ মাস বয়সে তাকে আনা হয়েছিল। সেই থেকে পরিবারের সদস্য হয়ে উঠেছে জোয়ি। আশেপাশের লোকজনও তাকে খুবই স্নেহ করে। যার অন্যতম কারণ তার আচরণ। একেবারেই শান্ত স্বভাবের এই কুকুর সকলের সঙ্গেই মিলেমিশে থাকতে পছন্দ করে। তেমন কোনও বিরক্তি কারণ না ঘটলে কাউকে কামড়াতে যায় না। তবে হ্যাঁ, অত্যধিক লম্বা জিভের জন্য কাউকে কাছে পেলেই চেটে দিতে খুব পছন্দ করে জোয়ি। তাই তার কাছে যাওয়ার আগে এই একটা ব্যাপারে সাবধান করে দেন তার মনিব। কিন্তু তাতে কি! জোয়ির এই আচরণ ভালোবাসার প্রকাশ হিসেবেই মনে করেন সকল। তাই নিজের এলাকা খুবই জনপ্রিয় সে।
আরও শুনুন: হঠাৎ জোরালো ঝাঁকুনি, বাইরে আগুন, অভিশপ্ত ট্রেন থেকে বেঁচে ফেরাও যেন ‘অলৌকিক’
আর সেই জনপ্রিয়তাই এবার আরও বেড়েছে বিশ্বরেকর্ডের দৌলতে। সকলেই জোয়ির এই কৃতিত্বে বাহবা দিয়েছেন। অনেকে আবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, এই অস্বাভাবিকতা কোনও রোগের লক্ষণ নয় তো! তবে তেমনটা যে একেবারেই নয় তা নিশ্চিত করেছেন জোয়ির মালিক স্বয়ং। ছোটবেলা থেকেই নাকি স্বাভাবিকের তুলনায় বড় জিভের মালিক জোয়ি। বয়স বাড়ার সঙ্গে তার জিভের আকারও বেড়েছে এই যা। তাই এতে আশঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে বিশ্বরেকর্ডের এই স্বীকৃতিতে বেজায় খুশি হয়েছে ওই পরিবারের সকলেই। আগামীদিনেও যেন সুস্থ থাকে তাঁদের প্রিয় পোষ্য এই কামনায় করেছেন সকলে।