শুধু খাবার পৌঁছে দেওয়া নয়, রাস্তায় আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়া কাউকে সাহায্যও করবেন ডেলিভারি কর্মীরাই। এই নিয়ে বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করেছিল অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থা। সেখানে ডেলিভারি কর্মীদের সিপিআর দেওয়ার পদ্ধতিও সেখানো হয়েছে। আসুন শুনে নেওয়া যাক।
রাস্তাঘাটে দুর্ঘটনা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। সেক্ষেত্রে সবসময় সঠিক মেডিক্যাল কেয়ার পাওয়া যায় না। স্রেফ হাসপাতালে পৌঁছতে দেরি হওয়ার দরুন মৃত্যু হয় অনেকের। সমস্যা কমাতে পথ সুরক্ষার একাধিক ব্যবস্থা করা হয় প্রশাসনের তরফে। তাও পুরপুরি বিপদ এড়ানো সম্ভব হয় না বললেই চলে। সম্প্রতি এই নিয়েই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে অনলাইন ফুড ডেলিভারি সংস্থা।
আরও শুনুন: ‘ভরদুপুরে খাবার অর্ডার করবেন না’, গ্রাহকদের কাছে অনুরোধ অনলাইন ডেলিভারি সংস্থার
আজকাল রাস্তায় বেরোলে ডেলিভারি কর্মীদের দেখা মিলবেই। দিন নেই রাত নেই, তাঁরা সবসময় খাবার পৌঁছে দিতে বাইক নিয়ে ছুটছেন। সুতরাং পথের সঙ্গে তাঁদের যোগ সবসময়ের। তাই তাঁদের হাতেই পথ সুরক্ষার ভার তুলে দিলে, অনেকটা নিশ্চিন্ত হওয়া যায়। এমনটাই ভেবেছেন ডেলিভারি সংস্থার কর্ণধার। ভাবনা মতো কাজও করেছেন। সংস্থার ডেলিভারি কর্মীদের জন্য সম্প্রতি বিশেষ ট্রেনিং-র ব্যবস্থা করেছিল ওই সংস্থা। যেখানে প্রায় ৩০ হাজার কর্মীকে সিপিআর দেওয়ার পদ্ধতি সেখানো হয়েছে। এমনিতে এই পদ্ধতি ডাক্তারি পড়ুয়াদেরই শিখতে হয়। তবে মেডিক্যাল এমার্জেন্সি সামলানোর জন্য এই বিশেষ পদ্ধতি শেখা উচিত সকলেরই। যাতে আচমকা কোনও বিপদের পরিস্থিতি হলে সামলানো যায়। ডেলিভারি কর্মীদেরও সেই কারণেই এই বিশেষ ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে।
আরও শুনুন: খাবার ডেলিভারি বয়দের লিফট ব্যবহারে মানা, আবাসনের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে বিতর্ক
শুধু তাই নয় ডেলিভারি কর্মীদের ব্যাগে ফাস্ট এইড কিটও দেওয়া থাকবে বলেই জানিয়েছেন সংস্থার কর্নধার। যাতে রাস্তায় কেউ দুর্ঘটনা সম্মুখীন হলে তক্ষনি সাহায্য করতে পারেন ডেলিভারি কর্মীরা। বেসিক ফাস্ট এইড কীভাবে করতে হয় সেই পদ্ধতিও শেখানো হয়েছে তাঁদের। এর আগে এত সংখ্যক মানুষকে নিয়ে এই ধরনের ক্যাম্প হয়নি। কাজেই এই ক্যাম্প আয়োজন করে গিনেস বুকের খাতাতেও নাম তুলেছে ওই সংস্থা। স্বভাবিক ভাবেই এই উদ্যোগ নেটদুনিয়ার প্রশংসা কুড়িয়েছে। অনেকেই সংস্থাকে কুর্নিশ জানিয়েছে এমন কিছু ভাবার জন্য। পাশাপাশি ট্রেনিং নেওয়া কর্মীরাও পথ সুরক্ষায় বিশেষ ভূমিকা পালন করবেন বলেই মনে করছেন নেটিজেনরা। আগামীদিনে আরও বেশি সংখ্যায় কর্মীদের এমন ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করা হোক, সংস্থার কাছে এই আর্জিই জানিয়েছেন অনেকে।