কোটিপতি। নিজের চেষ্টায় ব্যবসা দাঁড় করিয়েছেন। কিন্তু তবুও তাঁর জীবনে এতটুকু শান্তি নেই। কারণ দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও নির্দিষ্ট একটা প্রবেশিকা পরীক্ষায় কিছুতেই পাশ করতে পারছেন না এই ব্যক্তি। ইতিমধ্যেই ২৬ বার ওই পরীক্ষাটি দিয়ে ফেলেছেন তিনি। কার কথা বলছি? আসুন শুনে নিই।
২৬ বার পরীক্ষা দিয়েও পাস করতে পারছেন না এক ব্যক্তি। তবু তিনি হার মানতে নারাজ। অথচ ওই পরীক্ষায় পাস না করলে তাঁর বিরাট কোনও ক্ষতি হয়ে যাবে এমনটা একেবারেই নয়। কারণ তিনি ইতিমধ্যেই কোটি টাকার মালিক। ব্যবসায়ী হিসেবে তাঁর যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে। কিন্তু সে পরিচয় তাঁর কাছে যথেষ্ট নয়। তাই এখনও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বছর ৫৬-র এই ব্যক্তি।
আরও শুনুন: প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে ‘মোদিজি থালি’, নতুন চমক আমেরিকার রেস্তরাঁয়
কিন্তু কী এমন পরীক্ষা যা এতদিনেও পাস করতে পারছেন না তিনি?
ঘটনাটি চীনের। আর এই পরীক্ষা, সে দেশের সবথেকে কঠিন প্রবেশিকা পরীক্ষা। এতে বয়সের কোনও ঊর্ধ্বসীমা নেই। একবারে এই পরীক্ষা পাশ করার নজিরও বিরল। তাই দির্ঘদিন ধরে এই পরীক্ষায় বসছেন লিয়াং শি। আসলে এই পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা। নাম্বারের ভিত্তিতে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ মেলে। তবে লিয়াং যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার কথা ভেবেছেন সেখানে সুযোগ পেতে গেলে প্রবেশিকা পরীক্ষায় যথেষ্ট ভালো নাম্বার পেতে হবে। সেখানে এতদিনে পরিক্ষায় পাশটুকুও করতে পারেননি লিয়াং। চলতি বছরে এই পরীক্ষায় বসেছিল ১.৩ কোটি পড়ুয়া। যাঁদের মধ্যে লিয়াং-ও ছিলেন। এক-দু’বার নয়, এই নিয়ে ২৭ বার পরীক্ষায় বসেছেন তিনি।
আরও শুনুন: মায়ের স্মৃতিতে তাজমহল বানালেন ব্যক্তি, উপাসনা করতে পারবেন সব ধর্মের মানুষই
আসলে জীবনে অর্থগত স্বচ্ছলতা থাকলেও এই অপূর্ণতা মেনে নিতে পারেন না লিয়াং। ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি যথেষ্ট সফল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নির্মান সামগ্রীর দোকান রয়েছে তাঁর। সেই ব্যবসার জোরেই কোটি টাকার সম্পত্তি জমিয়ে ফেলেছেন তিনি। এবার কলেজের ডিগ্রীটাও ঝুলিতে ভরতে চাইছেন লিয়াং। এবারে পাশ না করলে পরেরবার ফের পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত তিনি। যদিও ১৯৯২ সালে নিজের চেষ্টায় ইতি টানতে বাধ্য হয়েছিলেন লিয়াং। সে বার চিন সরকার নিয়ম করেছিল, ২৫ বছরের কমবয়সি এবং অবিবাহিতরাই এই পরীক্ষায় বসতে পারবেন। কিন্তু ২০০১ সালে সেই নিয়ম বদলে গেলেই আবার পরীক্ষা দেওয়া শুরু করেন লিয়াং। সেই চেষ্টাই এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।