বিবাহিত না হলে থাকবে না চাকরি! এমনই শর্ত সংস্থার। মানতে হবে সকলকে। অন্যথায়, চাকরি যাবে। রীতিমতো সময় বেঁধে কর্মীদের বিয়ে করার নির্দেশ দিয়েছে এই সংস্থা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এমন নির্দেশ? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
চাকরি না পেলে বিয়ে হবে না, এমন আক্ষেপ অনেকেই করে থাকেন। কিন্তু বিয়ে না করলে চাকরি হবে না, এমনটা শুনেছেন? সম্প্রতি ঘটেছে ঠিক তাই। সংস্থার তরফে কর্মীদের সাফ জানানো হয়েছে, প্রত্যেককে বিবাহিত হতে হবে। ডিভোর্সীরাও ছাড় পাবেন না। খাতায় কলমে বিবাহিত হলেই, বহাল থাকবে চাকরি।
:আরও শুনুন:
বড্ড কাজের চাপ, অফিসের উপর প্রতিশোধ নিতে নয়া ‘ট্রেন্ড’, কী করছেন কর্মীরা?
ঘটনা চীনের। সেখানকার শানডং প্রদেশের এক সংস্থাই এমন নিয়ম চালু করেছে। কোনওভাবেই মশকরা করে বা মজার ছলে এই সিদ্ধান্ত নেয়নি ওই সংস্থা। বরং কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অবিবাহিত কর্মীদের, তাঁরা যেন চলতি বছরেই বিয়ে সেরে ফেলেন। বেঁধে দেওয়া হয়েছে ডেডলাইন। তারও আবার ভাগ রয়েছে। মানে সময়ের যত আগে বিয়ে হবে ততই মঙ্গল। একেবারে শেষবেলায় বিয়ে করলে আত্ম-সমালোচনা পত্রও লিখতে হবে ওই কর্মীদের। বিবাহবিচ্ছিন্নদের জন্যও একই নিয়ম। বয়সের ক্ষেত্রে অবশ্য একটা মাপকাঠি রাখা হয়েছে। ২৮ থেকে ৫৮ বছরের মধ্যেই যাদের বয়স, তাদেরই অবিলম্বে বিয়ে সারতে হবে। এমন নির্দেশ দেখে প্রথমে বেশ অবাক হয়েছিলেন সকলে। তবে যেভাবে গুরুত্ব দিয়ে সংস্থার তরফে বিষয়টিকে দেখা হয়েছে, তাতে খানিক ভয়ই পেয়েছেন অবিবাহিতরা। এই নিয়ে সোশাল মিডিয়াতেও মুখ খুলেছেন কেউ কেউ। আসলে, বিয়ে সকলের ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। কেউ বিয়ে না করলেও কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। কোনও সংস্থার তো নয়ই। কিন্তু চীনের এই সংস্থা ঠিক সেই কাজই করেছে।
:আরও শুনুন:
অফিসে বড্ড কাজের চাপ! পুরুষের তুলনায় বেশি অভিযোগ মেয়েদের, কিন্তু কেন?
জানা গিয়েছে, কর্মীদের বিবাহে উৎসাহ যোগাতে এমন পদক্ষেপ করেছে ওই সংস্থা। তাতে লাভ কীসের, সে ব্যাপারে সঠিক জানা নেই কারও। এমনকি এই ধরনের নির্দেশ এর আগে কোনও সংস্থার তরফে দেওয়া হয়েছে কিনা তাও জানা নেই। তবে সোশাল মিডিয়ায় বিষয়টা মোটেও মশকরা হিসেবে দেখা হয়নি। বরং কর্মীদের ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগেই গর্জে উঠেছেন অনেকে। শেষমেশ চাপের মুখে, ওই সংস্থাও নীতি বদলের কথা ভেবেছে বলেই জানা যায়।