বয়স মোটে ১৩ বছর। বইপত্তর নিয়ে রোজ স্কুলেও যায়। অথচ এর মধ্যেই নাকি আস্ত একখানা সংস্থার মালিক সে। হ্যাঁ, এই বয়সেই একাধিক কর্মীর ‘বস’ ওই কিশোর। আসুন, শুনে নেওয়া যাক তার কথা।
টিনএজে সবে পা রেখেছে সে। এই বয়সে পড়াশোনা, খেলাধুলো, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে গল্প আড্ডা- এইসব নিয়েই মেতে থাকার কথা। সাধারণত এই বয়সের ছেলেমেয়েদের কার্যত সারাক্ষণ যত্নআত্তি করে থাকেন মা-বাবাও। এমনকি ওই বয়সি কিশোর কিশোরীদের নিজেদের কাজও অনেকখানি তাঁরাই সামলে দেন। বলা যায়, তাদের সব দায়িত্বই থাকে পরিবারের উপরে। কিন্তু এই কিশোরকে সেই হিসেবে ধরা যাবে না একেবারেই। এই বয়সেই রীতিমতো নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে সে। শুধু তাই নয়, নিজে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে ওঠার পাশাপাশি সে সাধ্যমতো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আরও কিছু মানুষের দিকেও। আর সেই কারণেই, তার সমবয়সি বন্ধুদের চোখে কার্যত ‘হিরো’ হয়ে উঠেছে এই ১৩ বছরের কিশোর। সেই বন্ধুদের থেকে তার সাফল্যের কথা জেনে অবাক হয়ে গিয়েছেন তার শিক্ষিকাও।
কী ঘটেছে ঠিক? তাহলে খুলেই বলা যাক।
আরও শুনুন: চোর বাবাজির বোধোদয়! মন্দিরে চুরির ৯ বছর কৃষ্ণের গয়না ফেরত, সঙ্গে জরিমানাও
চিনের সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি সে দেশের এক শিক্ষিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। আর সেখান থেকেই ওই খুদের কীর্তির কথা জানতে পেরেছেন নেটিজেনরা। ওই শিক্ষিকা জানান, তিনি তাঁর ছাত্রছাত্রীদের বাড়ির কাজ হিসাবে এমন কোনও সহপাঠীর কথা লিখে আনতে বলেছিলেন, যে তাদের চোখে সফল। সকলে খাতা জমা দিলে দেখা যায়, বেশিরভাগ পড়ুয়াই একজনের কথাই বলেছে। তারা জানিয়েছে, তাদের এমন এক সহপাঠী রয়েছে যে ইতিমধ্যেই নিজের একটি সংস্থা খুলে ফেলেছে। কৌতূহলী হয়ে ওই ছাত্রকে ডেকে পাঠান শিক্ষিকা। তাঁর প্রশ্নের জবাবে ওই কিশোর জানায়, সত্যিই সে একটি সংস্থার মালিক। তার সংস্থার নাম ‘ইন্টারনেট টেকনোলজি’। এমনকি ওই সংস্থায় কয়েকজন কর্মীও নিয়োগ করেছে সে। তাদের বেতন দেয় সে নিজেই, দেখভাল করে সংস্থার কাজকর্মেরও।
আরও শুনুন: মাঝরাত পেরিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ফোনে অবাক বিদেশমন্ত্রী, কী সেই ঘটনা জানেন?
যদিও চিনের আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের কমবয়সি কেউ স্বতন্ত্র ব্যবসা করতে পারে না। তাই ওই পড়ুয়ার দাবি খতিয়ে দেখছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে এত কম বয়সেই কেউ যদি নিজের পায়ে দাঁড়ানোর কথা ভাবে, তবে তাকে সাধুবাদ জানানো উচিত বলেই মনে করছেন নেটিজেনরা।