পৃথিবীর উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র। সেখানেই ভারত-পাক বর্ডার। প্রকৃতির চরম প্রতিকূলতা সহ্য করে সিয়াচেনে দিনরাত পাহারয় রত দেশের জওয়ানরা। এবার তাঁদের শুশ্রূষার দায়িত্ব কাঁধে নিলেন অকুতোভয় ফতিমা ওয়াসিম। কে এই মহিলা মেডিক্যাল অফিসার? আসুন শুনে নিই।
সিয়াচেনে আমাদের সেনারা লড়ছেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কথায় এই বক্তব্য ফিরে আসে। দীপাবলি উদযাপন সারতে সেখানে উড়ে যেতেও দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে। সেই সিয়াচেন পেল মহিলা মেডিক্যাল অফিসার। জওয়ান চিকিৎসার কাজে নিযুক্ত হলেন ফতিমা ওয়াসিম।
আরও শুনুন: ছিলেন অলকা, হলেন অস্তিত্ব! ৪৭-এর জন্মদিনে লিঙ্গ পরিবর্তন করে বিয়ে প্রেমিকাকে
বেশ কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ এই সিয়াচেন হিমবাহে সারা বছর উপস্থিত থাকেন ভারতীয় সেনারা। বর্ডার এলাকা ছেড়ে নেমে আসার উয়াপ্য নেই। তা সে প্রকৃতি যতই প্রতিকূল হয়ে উঠুক। স্রেফ ঠাণ্ডা আবহাওয়া নয়, এখানে সারা বছর তুষার ঝড় লেগেই থাকে। বরফের পুরু আস্তরণ জমে থাকে ৩০-৪০ ফুট। এরকম এক জায়গায় বন্দুক হাতে পাহারা দেওয়া মোটেও সহজ ব্যাপার নয়। উপযুক্ত ট্রেনিং ছাড়া এখানে কাউকে পাঠানো হয় না। শুধু সেনা নয়, সেনা বাহিনীর যাবতীয় অনুষঙ্গ হিসেবে যাঁদের সিয়াচেনে থাকতে হয়, তাঁদেরও প্রয়োজন পড়ে কড়া ট্রেনিং-এর। মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হওয়া ফতিমাকেও সেই একই কাজ করতে হয়েছে। দীর্ঘ ট্রেনিং-এর পরই এই দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, প্রায় ১৫২০০ ফিট উচ্চতায় থাকতে হবে তাঁকে। নতুন মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হয়ে রীতিমতো গর্বিত ফতিমা নিজেও। দেশের জওয়ানদের সেবার কাজে নিযুক্ত হয়ে বেজায় খুশিও হয়েছেন। একইসঙ্গে সিয়াচেনের জওয়ানরা তাঁকে সঙ্গে নিয়ে যে বিশেষ উদযাপনে মেতেছিলেন সেই ভিডিও-ও নেটদুনিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে।
আরও শুনুন: কর্ণাটকেও টিকবে না কংগ্রেস সরকার! ইঙ্গিত দিলেন কুমারস্বামী
এর আগে ক্যাপ্টেন গীতিকা কৌল মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন সিয়াচেনে। স্নো লেপার্ড ব্রিজ এর অংশ ছিলেন গীতিকা। তাঁকেও এই কাজে নিযুক্ত হওয়ার আগে কড়া ট্রেনিং পেরোতে হয়েছিল। তবে নেটদুনিয়া এই খবরে আবেগে ভেসেছে। এমনিতেই দেশের জওয়ানের প্রতি সকলেরই শ্রদ্ধা থাকে। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জেরেই গোটা দেশ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে। তবে সিয়াচেনের সেনারা সেই সবকিছুর উর্ধ্বে। স্রেফ বিদেশি শত্রু নয়, তাঁদের দিনরাত লড়াই করতে হয় প্রকৃতির সঙ্গেও। তাই তাঁদের সেবার কাজে মহিলা মেডিক্যাল অফিসার নিযুক্ত হওয়ায় বেজায় খুশি ভারতবাসী।