আরও বেশি আকর্ষনীয় হয়ে উঠবেন। একবার দেখলে চোখ ফেরাতে পারবেন না কেউ। এমনই বিজ্ঞাপনে শহর ছেয়ে গিয়েছে। তবে এ বিজ্ঞাপন কোনও ক্রিম বা পারফিউমের নয়। বিশেষ এক ক্যাম্পের। যেখানে শেখানো হবে যৌনতার কৌশল। ব্যাপারটা ঠিক কী? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
যৌনতার ক্যাম্প। তাতে দলে দলে ভিড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ভিড়ে মূলত রয়েছে মহিলারাই। বিভিন্ন বয়সের। বিভিন্ন পেশার। উদ্দেশ্য একটাই, নিজেকে আরও আকর্ষনীয় করে তোলা। আসলে, এমনই বিজ্ঞাপন দিয়েছে ওই ক্যাম্পের আয়োজকরা।
যৌনতা নিয়ে অনেকেরই ছুঁতমার্গ রয়েছে। অবশ্য বিদেশে এই ছবিটা তেমন নয়। বিশেষ করে মার্কিন মুলুকে অবাধ যৌনতায় অস্বাভাবিকতা দেখেন না অনেকেই। বাড়িতে এই নিয়ে খোলামেলা আলোচনাতেও আপত্তি নেই। তেমন পরিচয় নেই, এমন কারও সঙ্গে রাত কাটাতে সমস্যা নেই। নিজেদের পছন্দকেই বেশি গুরুত্ব দেন এঁরা। তাতে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অনেকেই। সবসময় তা সুখের হয়, এমনটা বলা ভুল। সম্পর্কে তৃতীয়জনের উপস্থিতি অশান্তির জন্ম দেয়। কখনও বিবাহবিচ্ছদের মতো চরম সিদ্ধান্ত নিতেও বাধ্য হন কেউ কেউ। সম্প্রতি এই সমস্যার কথা ভেবেই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে চিনের এক সংস্থা। আয়োজন করেছে যৌন ক্যাম্প। সেখানে বিভিন্ন বয়সের মহিলাদের যৌনতার কৌশল শেখানো হবে বলেই দাবি সংস্থার। বিনিময়ে দিতে হবে মোটা টাকা। আর এমনটা করলেই নাকি স্বামীদের বশে রাখতে পারবেন যে কেউ। সংস্থার দাবি, এই ক্যাম্পে এমন অনেক কিছুই শেখানো হবে যা মহিলাদের আগের তুলনায় অনেকটাই বেশি আকর্ষনীয় করে তুলবে। তাতেই স্বামীরা আর চোখ ফেরাতে পারবেন না। কিন্তু এর আড়ালে নাকি জালিয়াতির ব্যবসা চালাচ্ছে ওই সংস্থা। এমন দাবিও শোনা যাচ্ছে। কিন্তু কেন?
সোশাল মিডিয়ায় ওই সংস্থার প্রতি এই ধরনের অভিযোগ আনার নেপথ্যে অনেকগুলি কারণ দেখিয়েছেন নেটিজেনরা। প্রথমেই যে দাবি উঠছে, তা হল যৌনতা শিখিয়ে কাউকে আকর্ষনীয় করে তোলা যায় না। কেউ কেউ এমনটাও বলছেন, এইভাবে মহিলাদের ঠকাচ্ছে ওই সংস্থা। তাদের আসল উদ্দেশ্য অন্য। অসহায় মহিলারা চোখ বুজে এঁদের ভরসা করছেন। তাতেই হিতে বিপরীত হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। পাশাপাশি, এই দাবিও উঠছে যে আকর্ষনীয় হতে গেলে প্রয়োজন জ্ঞান। তা মিলবে বই পড়ে, স্রেফ বাইরে থেকে দেখে যে আকর্ষণ, তা চিরস্থায়ী নয়। আর একটা বয়সের পর সৌন্দর্য নিয়ে বড়াই করার মতো কিছুই থাকে না। সেইসময় কাজে আসে কার বুদ্ধির দৌড় কতটা। কিংবা কে কতটা জানে। তাই বই পড়া বা এইধরনের কাজে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কেউ কেউ। এই সংস্থাকে এত টাকা দেওয়া আসলে বোকামি বলেই দাবি এঁদের। তবে সংস্থার তরফে এই ধরনের অভিযোগ নাকচ করা হয়েছে। বরং তাঁদের দাবি এই ক্যাম্পে বিশেষজ্ঞরা থাকবেন। যারা যৌনতা বিষয়ে যথেষ্ট জ্ঞান রাখেন। স্বামী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন যৌনতার টানে, এই অভিযোগ অধিকাংশ মহিলার। সেক্ষেত্রে যৌনতা শেখালেই সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছেন ক্যাম্পের আয়োজকরা। তাই বিভিন্ন কৌশলে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। তার টানে অনেকেই ছুটে আসছেন সেই ক্যাম্পে।