উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে অনেক সময়ই এক দেশ থেকে অন্য দেশে যান মানুষ। সেখানে গিয়ে সুস্থ হয়ে ফেরেন। এমন ঘটনা আকছার ঘটে। তবে শুধুমাত্র সস্তায় ডাক্তার দেখাবেন বলে এক দেশ থেকে অন্য দেশে উড়ে গেলেন দম্পতি। না, কাছেপিঠে কোথাও নয়। রীতিমতো ৬ হাজার মাইল পাড়ি দিলেন তাঁরা বিমানে। গুনতে হল মোটা টাকার মাশুলও। তবে কুছ পরোয়া নেই। সস্তায় ডাক্তার দেখানো তো হল। এমনই যুক্তি ওই দম্পতির। কী বলছেন তাঁরা? আসুন, শুনে নিন।
দামে কম, মানে ভাল। এমন জিনিসের পিছনেই তো দৌড়চ্ছে গোটা দুনিয়া। সামান্য টাকা সঞ্চয় করতে কত কী-ই তো করে লোকে। তা তাঁদের দলেই যে পড়েন এই দম্পতি, তা বলাই বাহুল্য। সুলভ জিনিস খুঁজতে কোনও অংশে কম যান না তাঁরা। নাহলে কি আর কেউ ছ’হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে শুধু দাঁতের ডাক্তার দেখাতে ছোটেন।
আরও শুনুন: মূল্যবৃদ্ধিতে নাজেহাল দেশে অপচয়ের বহর, বছরে গড়ে ৫০ কেজি খাবার নষ্ট করেন ভারতীয়রা
দেখালে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের দন্তচিকিৎসককেই দেখাবেন, এমনই ধনুকভাঙা পণ নিয়ে বসেছিলেন ব্রিটেনের এই দম্পতি। কিন্তু দীর্ঘদিনে বহু চেষ্টার পরেও স্থানীয় কোথাও সেই চিকিৎসককে দেখানোর সুযোগ পাননি তাঁরা।
তবে তাতে হাল ছাড়তে চাননি দম্পতি। বরং বিস্তর গবেষণা করে জানতে পারেন, সুদূর ব্রাজিলে মিলবে সেই পরিষেবা। ব্যাস, উঠল বাই, ব্রাজিল যাই। বাক্স প্যাঁটরা বেঁধে বেরিয়ে পড়লেন বছর তেতাল্লিশের স্টুয়ার্ট উডম্যানসে ও তাঁর স্ত্রী একচল্লিশের কিদমা। বিমানে চেপে পৌঁছে গেলেন ব্রিটেন থেকে সোজা ব্রাজিলে।
আরও শুনুন: ৭৫ বছর পরেও টাটকা ভিটেমাটির স্মৃতি, ভিসা পেয়ে পাক মুলুকে যাচ্ছেন পুনের বৃদ্ধা
স্টুয়ার্টের কথায়, ব্রাজিলে দাঁতের চিকিৎসা বেশ সুলভ। তাই তাঁদের বেশ সুবিধাই হয়েছে। অবশ্য এ কথা বলার সময় বোধহয় বিমানের মাশুলের কথা ভুলেই গিয়েছিলেন তিনি। কারণ যাতায়াত বাবদই তাঁর খরচ হয়ে গিয়েছে প্রায় ৭০ হাজার টাকা।
তবে খুব ভুল বোধহয় বলেননি দম্পতি। ব্রিটেনে নাকি ওই ডাক্তারকে দেখাতেই তাঁদের খরচ হত এক লক্ষ টাকার কাছাকাছি। সেখানে ব্রাজিলে ডাক্তারের খরচ নাকি মাত্র পাঁচ হাজার। ফলে সেদিক থেকে দেখতে গেলে কিছু টাকা তো বাঁচিয়েইছেন দম্পতি। তাতে ৬ হাজার মাইল পেরোতে হলেও বা কী! দম্পতির এই কাণ্ডে অবাক নেটদুনিয়া। অনেকে বেশ মজাও পেয়েছেন তাঁদের এই কাণ্ড। বিশ্বের সবচেয়ে সঞ্চয়ী দম্পতিদের মধ্যে যে স্টুয়ার্ট আর কিদমার নাম থাকবেই, সে নিয়ে এক বিন্দুও সন্দেহ নেই নেটনাগরিকদের।