বিয়ের নিমন্ত্রণ পেয়েছেন। অনুষ্ঠান বাড়িতে জানিয়েও দিয়েছেন আপনি যাবেন। অথচ বিয়ের ঠিক এক সপ্তাহ আগে জানালেন যে আপনি যেতে পারবেন না! জানেন কি, এমনটা করলে আপনাকেই গুনতে হতে পারে মোটা টাকা জরিমানা! কেন বলছি এমন কথা? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
অনেক আগেই পাঠানো হয়েছে নিমন্ত্রণ। অনুষ্ঠানের কয়েক সপ্তাহ আগেও ফের মনে করিয়েছেন। অথচ শেষ মুহূর্তে আসবেন না বলে জানিয়েছেন কয়েকজন অতিথি। বাড়িতে অনুষ্ঠান থাকলে এমন অভিজ্ঞতা হতেই পারে। এক্ষেত্রে মেনে নেওয়া ছাড়া কিছু করারও নেই। কিন্তু এই মহিলা বিষয়টা একেবারেই সহজভাবে নেননি। যাঁরা আসবেন বলেও আসেননি, তাঁদের ক্ষতিপূরণ পাঠানোর দাবি তুলেছেন তিনি।
আরও শুনুন: গান শুনলেই বেশি দুধ দেয় গরু! এই গোশালায় গাইতে আসেন দেশের তাবড় শিল্পীরা
ঘটনাটি অস্ট্রেলিয়ার। সম্প্রতি সেখানকার এক বিয়ের অনুষ্ঠান ঘিরে নেটদুনিয়ায় বেশ হইচই শুরু হয়েছে। এমনিতে বিয়ে মানেই খরচের বহর। দেশ হোক বা বিদেশ, বিয়ের খরচ সামলাতে হিমশিম খান অনেকেই। তবু সকলে আসবেন, আনন্দ হবে, এই আশায় খরচের কথা না ভেবেই রাজকীয় আয়োজন সারেন কেউ কেউ। এবার যাঁদের জন্য এত আয়োজন, সেই অতিথিরাই যদি না আসেন তাহলে তো সবটাই বৃথা। অনুষ্ঠানের আগেই ক্যাটারারকে টাকা দিতে হয় কতজন বিয়েতে নিমন্ত্রিত সেই হিসাবে। এবার অনুষ্ঠানের দিন লোক কম এলে তো আর সেই টাকা ফেরত পাওয়া যাবে না! একইসঙ্গে দূর থেকে আসা অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা, যাবতীয় অনুষঙ্গ মেটাতে আরও খরচ। তাই বিয়ের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ পাঠানোর সময়ই অনেকে বারবার জীজ্ঞাসা করে নেন অতিথি আসতে পারবেন কি না। এক্ষেত্রেও তেমনটাই হয়েছিল। কনে নিজেই বারবার জীজ্ঞাসা করেছিলেন কোন কোন অতিথি বিয়েতে আসতে পারবেন। কজন আসবেন নিশ্চিত ভাবে জেনেই বিয়ের আয়োজন শুরু করেন। শুধু খাওয়া-দাওয়া নয়, অতিথিদের থাকার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা করেছিলেন তিনি। যার জন্য কয়েক লক্ষ টাকা খরচও হয় তাঁর। এদিকে বিয়ের যখন মাত্র এক সপ্তাহ বাকি, তখন কয়েকজন অতিথি জানান যা তাঁরা আসতে পারবেন না। এর আগে এঁরাই বলেছিলেন অবশ্যই বিয়েতে আসবেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তাঁরা নাকচ করেছেন। যার কারণ অন্য কিছু নয়, এতদূরে যাওয়া তাঁদের খরচ সাপেক্ষ মনে হয়েছে তাই।
আরও শুনুন: বিয়ের খরচ ভাগ করে নেন অতিথিরাই, কোথায় রয়েছে এমন রেওয়াজ?
এমন দাবি শুনে কনে তো চটে লাল। সেই মুহূর্তে কিছু না বললেও পরে ওই অতিথিদের উদ্দেশে মন্তব্য করেন তিনি। দাবি একটাই, যে টাকা ওই অতিথিদের জন্য খরচ হয়েছে তা মেটাতে হবে তাঁদেরই। কারণ বিনা প্রয়োজনে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করতে তিনি একেবারেই রাজি নন। এই টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে অতিথিদের কাছ থেকে চাওয়া কথা বলেছেন তিনি। যদিও সরাসরি এই প্রস্তাব অতিথিদের তিনি দেননি। নেটমহলে স্রেফ নিজের দাবি জানিয়েছেন। এতে নেটিজেনদের একাংশ তাঁকে রীতিমতো সমর্থনও জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে ঠিক কত টাকা কোন খাতে খরচ হয়েছে সেই হিসাবও দিয়েছেন মহিলা। যাতে এটুকু স্পষ্ট ওই অতিথিদের জন্যই মোটা অঙ্কের টাকা খসেছে তাঁর পকেট থেকে। তাই সব শেষে তিনি কড়া ভাবে জানিয়েছেন, এই ধরনের আচরণ কারওর করা উচিত না। যেতে পারবেন কি পারবেন না তা আগেভাগেই জানিয়ে দিন। নাহলে ক্ষতিপূরণ চাওয়া ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না।