বিয়ের পর বরের বাড়িতে এসেছেন বটে, তবে প্রাক্তন স্বামীকে সঙ্গে নিয়েই। দুই পুরুষকে নিয়েই একসঙ্গে সংসার পেতেছেন এই তরুণী। কিন্তু দুজনের সঙ্গে একত্রে সম্পর্ক রাখতে চেয়েই কি এমনটা করেছেন তিনি? নাকি নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ? শুনে নেওয়া যাক।
সম্পর্ক ভেঙেছে, নতুন সম্পর্কের পথে পা বাড়িয়েছেন। এমন ঘটনা আজকের দিনে আর নতুন নয়। কোনও একটি সম্পর্কে একসঙ্গে থাকা না গেলে নতুন করে ভালো থাকার অধিকার যে সকলেরই রয়েছে, সে কথাও কমবেশি সকলেই বুঝতে পারছেন এখন। কিন্তু একইসঙ্গে প্রাক্তন ও বর্তমানের সঙ্গে সংসার? ঠিক তেমনটাই করেছেন এক তরুণী। বিয়ে করে নতুন সংসার পেতেছেন বটে, তবে সে সংসারে যে তাঁর প্রাক্তন স্বামীও থাকবেন, আগেভাগেই তেমন শর্ত দিয়েছিলেন তিনি। আর সে শর্ত মেনেও নিয়েছেন তাঁর বর্তমান স্বামী। শুনেই কী মনে হচ্ছে, এ আসলে সিরিয়ালের গল্প, যেখানে একজনের একাধিক বউ কিংবা বর থাকা প্রায় নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে! কিন্তু রিল নয়, এ তো রিয়েলই বটে। তাহলে কি দুজনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চান বলেই এহেন পদক্ষেপ করেছেন ওই তরুণী? সত্যিই কি তাই? নাকি দেখে যা মনে হয়, তার আড়ালেও আরও কিছু থেকে যায়? সব সম্পর্ককেই কি এক ছকে ফেলে দেওয়া যায় আদৌ? কারও কাজ বিচার করার আগে সেই দিকগুলি খতিয়ে দেখাও জরুরি। আর সে কথাই যেন বুঝিয়ে দিলেন এই তরুণী।
আরও শুনুন: হাজার খুঁজলেও খোলা বাজারে মিলবে না, কোন সংস্থা বানায় ভোটের নীল কালি?
জানা গিয়েছে, বছর ৩৮ এর ওই তরুণীর নাম ক্রিস। সম্প্রতি প্রেমিক জেমস আর্মস্ট্রংকে বিয়ে করেছেন তিনি। তবে এর আগেও ক্রিস বিবাহিত ছিলেন। দ্বিতীয় বিয়ের আগেই তিনি শর্ত দেন, তিনি যেখানে থাকবেন, তাঁর সঙ্গেই থাকবেন প্রাক্তন স্বামী ব্র্যান্ডনও। সে কথায় রাজি হয়ে যান জেমসও। আসলে, ২০০৬ সালে ছোটবেলার বন্ধু ব্র্যান্ডনের সঙ্গে দাম্পত্য জীবন শুরু করেছিলেন ক্রিস। কিন্তু সুখের সংসারে হঠাৎই অঘটন ঘটে। ভয়ংকর পথদুর্ঘটনায় জখম হয়ে ব্র্যান্ডন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু দুঃসময়েও সঙ্গীর হাত ছাড়েননি ক্রিস। তারপর থেকেই কেয়ারগিভার হিসেবে পাশে থেকেছেন তিনি।
আরও শুনুন: মধ্যযুগীয় প্রাসাদের স্নানঘরে বন্দি মহিলা, উদ্ধার করল আইলাইনার
কিন্তু কেয়ারগিভারের ভূমিকা পালন করলেও, এই পরিস্থিতিতে তাঁদের দাম্পত্য ফিরে আসা আর সম্ভব ছিল না। একসময়ে ক্রিসের একলা জীবনের পাশে দাঁড়ান জেমস। জেমসকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন ক্রিসও। কিন্তু তিনিও যেমন ব্র্যান্ডনকে একা করে দিতে চাননি, তেমনই স্ত্রীর সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছেন জেমসও। ক্রমে ক্রমে দুজনেই হয়ে উঠেছেন ব্র্যান্ডনের অভিভাবক। যেখানে একজনের অতীত সম্পর্ক মেনে নিতেই অনেকে অস্বস্তিতে পড়েন, সেখানে সম্পর্ক আর ভরসার এক নয়া পাঠ লিখছেন এই যুগল। এই ভাঙনের দিনকালে সেই আশ্বাসটুকু সত্যিই বড় স্বস্তির।