ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করতে আসবে বর। এমনটাই চলতি নিয়ম। তবে এখানে ঘটেছে ঠিক উল্টোটা। ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করতে হাজির হয়েছে খোদ পাত্রী। কোথায় ঘটল এমন কাণ্ড? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
বর এসেছে! এই একটা কথা গোটা বিয়েবাড়িতে শোরগোল ফেলার জন্য যথেষ্ট। বাড়ির সদস্যদের অনেকেই একছুটে হাজির হন বর দেখতে। তারপর সে কত্ত নিয়ম। বরণ, মিষ্টি খাওয়ানো আরও কত কী! সব সেরে ভিতরে ঢুকবেন বরমশাই। বিয়ে করে নিয়ে যাবেন নতুন বউ। কিন্তু এর উল্টোটা যদি হয়? মানে বরের জায়গায় শোভাযাত্রা নিয়ে বিয়ে করতে হাজির হন বউ?
:আরও শুনুন:
স্বামী-স্ত্রী এক ছাদের তলায় কিছুতেই থাকবেন না, এই শর্তে বিয়েই এখন ট্রেন্ডিং
সিনেমা নয়, বাস্তবেই ঘটেছে এমন কাণ্ড। ঘটনা রাজস্থানের চারু শহরের। এমনিতে এখানকার বিয়েতে ঘোড়ায় চড়ে বর আসার নিয়ম রয়েছে। স্থানীয় ভাষায় যার নাম বিন্দোরি। স্রেফ ঘোড়ায় চড়া নয়, রাজপুত্রের মতো সেজে বিয়ে করতে যান বরমশাই। মাথায় পাগড়ি, পায়ে নাগরা, পরনে ভারী কাজ করা শেরওয়ানি। কেউ কেউ সঙ্গে তলোয়ার রাখেন। পারিবারিক নিয়ম হিসেবে এমনটা করতে হয়। ঘটা করে শোভাযাত্রা সঙ্গে নিয়ে বিয়ে করতে যান পাত্র। তবে এখানে ঘটেছে উল্টোটা। শোভাযাত্রা নিয়ে বিয়ে করতে হাজির হয়েছেন পাত্রী। তাও আবার ঘোড়ায় চড়েই।
আরও শুনুন:
বিয়েবাড়িতে নগদ টাকা চেনা উপহার, খামের গায়ে একটাকার কয়েন থাকে কেন?
সম্প্রতি এই ঘটনা এলাকায় বেশ শোরগোল ফেলেছে। তবে বাঁকা চোখে দেখেননি কেউ। সকলেই প্রশংসা করেছেন এমন উদ্যোগের। পাত্রী মনিকা সাইনিও বেজায় খুশি। তবে এই ভাবনা তাঁর একার নয়। সাইনি পরিবারের পুরুষ সদস্যরাই এমনটা ভেবেছিলেন। মূল উদ্যোগ পাত্রীর বাবা মনোজ কুমার সাইনির। তাঁর কথায়, ছেলে-মেয়ের মধ্যে কোনও তফাৎ রয়েছে বলে তিনি মনে করেন না। তাই বিয়ে করতে যাওয়ার এই চলতি নিয়ম বদলাতে চেয়েছেন। মনিকা ছাড়াও তিন মেয়ে রয়েছে তাঁর। প্রত্যেকের বিয়েতেই এমনটা করতে চান তিনি। মেয়েকে কোনও ভাবেই কারও সামনে ছোট হতে না হয়, সেই ভাবে বড় করেছেন। শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর আগে সকলকে বুঝিয়ে দিতে চেয়েছেন সে কথা। মনিকার ভাইরাও সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন। দিদিকে এইভাবে বিয়ের আসরে পৌঁছে দিতে পেরে বেজায় খুশি তাঁরাও। যদিও এই প্রথম নয়। এর আগেও এমনটা হয়েছে। সেবারও রাজস্থানেই ঘোড়ায় চড়ে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন পাত্রী। সেই নিয়ে হইচই হয়েছিল বিস্তর। সমালোচনাও হয়েছিল। এবার সেই একই ঘটনা পুনরায় ঘটল। তবে সমালোচনা হয়নি এতটুকু, বরং সকলেই এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন।