ঝগড়া হতে না হতেই মুখ ফিরিয়েছেন প্রেমিকা। নানা ছল-বল-কৌশল করেও খোলানো যাচ্ছে না তাঁর ব্লক। উপায় না পেয়ে অনলাইন নেট ব্যাঙ্কিং অ্যাপকেই আশ্রয় করলেন প্রেমিক। কী ঘটল এরপর? আসুন, শুনে নিই।
প্রেমের সঙ্গে ওতপ্রোত সম্পর্ক জড়িয়ে আছে মান-অভিমানের। আর প্রিয়জনের মানভঞ্জনের জন্য নানান উপহারের রসদ তো জোগাতেই হয়! এক্ষেত্রে কখনও ফুল, কখনও চকলেট, কখনও বা সেই মানুষটির পছন্দের জিনিস… এমন কিছুই উপহার হিসেবে বেছে নেন প্রিয়জনেরা। উপহার হিসেবে সাধারণত এসবের কথাই শুনেছেন তো? কিন্তু মান ভাঙাতে সওগাতের তালিকা আলো করে নগদ টাকা-কড়িও যে থাকতে পারে, এ কথা শুনেছেন নাকি? তাহলে আজ সে গল্পই বলব আপনাদের। তবে এ কিন্তু মোটেও কোনও গল্প নয়। নিপাট সত্যি। এখানে প্রেমিকার মান ভাঙাতে প্রতি মিনিটেই টাকা পাঠিয়ে চলেছেন প্রেমিক। আর তাতেই দিব্যি বেড়ে গিয়েছে প্রেমিকার ব্যাঙ্ক ব্যালান্স।
আরও শুনুন: নায়ক-নায়িকাকে শান্তিতে প্রেম করতে দেননি কেন? প্রশ্ন তুলে ভিলেনকে চড় কষালেন মহিলা
খুঁটিনাটি ঝগড়া-অশান্তি কোন সম্পর্কে হয় না বলুন তো? এখানে অবশ্য ঝামেলা গড়িয়েছে ব্লক করে দেওয়া পর্যন্ত! তাও আবার একটা-দুটো জায়গা থেকে নয়। কল করার অ্যাপ, মেসেজ করার অ্যাপ, এমনকী অন্যান্য সমস্ত সমাজমাধ্যম থেকেও প্রেমিককে ব্লক করেছেন প্রেমিকা। এদিকে কথা বলতে না পেরে প্রেমিকের মাথায় হাত! কথা বলার সামান্য ছুতোটুকুও না থাকলে প্রেমিকার মানভঞ্জন করবেন কী করে? তবে সর্বত্র ব্লক করলেও খোলা আছে শেষ একটি মাত্র উপায়। তা হল নেট ব্যাঙ্কিং অ্যাপ। যা দিয়ে কিনা টাকাপয়সার লেন-দেন করা যায়। ব্যস। এই সুযোগ। অমনি সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে প্রেমিক উঠে পড়ে লাগলেন প্রেমিকার মানভঞ্জন করতে। আর উপায়টা হল টাকা পাঠানো। তাও আবার প্রতি মিনিটে। খুব বেশি নয়, প্রতি মিনিটে এক টাকা করে।
প্রতি মিনিটে টাকা ঢুকছে, আর সেই ঠ্যালায় একেবারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন প্রেমিকা। নাছোড়বান্দা প্রেমিকের কাণ্ড দেখে অতিষ্ঠ প্রেমিকা বাধ্য হয়ে নিজেই এই বিষয়টি শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তা দেখেই হতবাক নেটিজেনরা! লাইক কমেন্টও করেছেন দেদার। কেউ মজা করে লিখছেন, এমন মানুষকে ভুলেও ব্লক করবেন না। কেউ আবার লিখেছেন, এই তো, উপার্জনের সহজ উপায়। কেউ কেউ অনুমান করেছেন এভাবে চলতে থাকলে অতি সহজেই মাস শেষে তাঁর ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স গিয়ে দাঁড়াবে চল্লিশ হাজারের ওপরে। তবে যে যাই বলুন না কেন, প্রেমিকার অভিমান মুছিয়ে দিতে এমন পদ্ধতি যে সত্যিই সকলের নজর কেড়েছে, তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। পিরিতি যে কাঁঠালের আঠার মতো লেগে থাকে এ কথা তো সকলেই জানেন। এবার বোধহয় হাতেনাতে তারই প্রমাণ পেলেন এই তরুণী।