শুধু বিমান নয়, বিমানের সঙ্গে কিনে নেবেন বিমানসেবিকাকেও। বিমানযাত্রায় গণ্ডগোল বাধানোর পর এমনই বেফাঁস মন্তব্য করে বসেছিলেন এক বিজেপি নেতা। আর সেই ঘটনার জেরেই জল গড়াল অনেকদূর। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
একেই বোধহয় বলে, ঢিলটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়। সে কথা এবার কি বুঝলেন এই বিজেপি নেতা? ক্ষমতার জোরে বিমানে উঠেই জোর গোলমাল বাধিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এমনকি সগর্বে ঘোষণা করেছিলেন, গোটা বিমানটি কিনে নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন তিনি। শুধু তাই নয়, বিমানের সঙ্গে বিমানসেবিকাকেও কিনে নেবেন বলে বেফাঁস মন্তব্য করে বসেছিলেন ওই নেতা। কিন্তু সেই কাণ্ডের দৌলতে উলটে বিপাকে পড়তে হল তাঁকেই। একেবারে বিমান থেকেই সটান নামিয়ে দেওয়া হল তাঁকে।
কী ঘটেছে ঠিক? তাহলে খুলেই বলা যাক।
আরও শুনুন: Bharat: ‘ইন্ডিয়া’ নামের দাবিদার কি পাকিস্তান? ভারতের নামবদলের জল্পনার মাঝেই নয়া রটনা
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি শিলচর থেকে কলকাতা আসার জন্য বিমানে উঠেছিলেন সুজিত দাস চৌধুরী নামের ওই বিজেপি নেতা। বিমানটি টেক অফ করার সময় হয়ে গিয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই যাত্রীদের নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ব্যাপারগুলি বুঝিয়ে দেন বিমানসেবিকারা। সেখানে তাঁরা সবাইকে মোবাইল ফোন সুইচড অফ করারও নির্দেশ দেন। কিন্তু বারবার বলা সত্ত্বেও সেই নির্দেশ মানতে রাজি হননি ওই নেতা। উলটে তিনি প্রায় ঝগড়াই বাঁধিয়ে দেন বিমানসেবিকাদের সঙ্গে। এক পর্যায়ে তিনি রীতিমতো খারাপ ভাষায় হুঁশিয়ারি দিতে থাকেন তাঁদের। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে এক আধিকারিকের দাবি, ওই নেতা এমন কথাও বলে বসেন যে গোটা বিমানটি এবং বিমানসেবিকাকেও তিনি কিনে নিতে পারেন। গোলমাল যত বাড়তে থাকে, ওই নেতার সঙ্গে সুর চড়াতে শুরু করেন তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গরাও। ফলে বিমান ছাড়া সম্ভব হচ্ছিল না। কিন্তু একটানা এই ঘটনা বেশিক্ষণ সহ্য করেননি কর্তৃপক্ষ। এমনিতে এ দেশে রাজনৈতিক নেতাদের অসীম ক্ষমতা। সেই জোরেই ওই নেতা বিমানসেবিকার সঙ্গে কুরুচিকর আচরণ করছিলেন। কিন্তু এক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত বিমানের ক্যাপ্টেন ঘটনায় হস্তক্ষেপ করেন। তিনিই ওই নেতাকে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। প্রতিবাদ হিসেবে নেতার সঙ্গে থাকা আরও জনা দশেক যাত্রীও বিমান থেকে নেমে যান। এরপর প্রায় আধঘণ্টা দেরি করে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয় বিমানটি, এমনটাই জানিয়েছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।