বর্ষাকালে বৃষ্টি তো হবেই। শ্রাবণের অঝোরধারা ঝরবেই। ঘরের কোণে বসে মেঘলা আকাশ ও ঝাপসা জলছবি দেখতে ভালই লাগে কিন্তু যখন সেই জলছবি নিজের গৃহকোণকে ভাসিয়ে দেয়, এই বৃষ্টিই হয়ে যায় বিভীষিকা। বর্ষায় কীভাবে যত্নে রাখবেন আপনার সুইটহোম, শুনুন।
এমনিতেই বর্ষায় ঘরবাড়ি, বিছানা যেখানেই হাত দেওয়া যায়, কেমন যেন স্যাঁতসেতে, ভিজে ভিজে ভাব থাকে। এখন তো ভিজে জামাকাপড় শুকোতে দেওয়ার একটাই জায়গা – একচিলতে বারান্দা। বর্ষায় সেখানেও জল থইথই। জানলা দিয়ে জল ঢুকলে ভিজে যাবে সাধের আসবাবও। তারপর যদি রেনওয়াটার পাইপ ফেটে জল দেওয়াল বেয়ে নামতে থাকে তাহলে তো কথাই নেই। একটানা বৃষ্টিতে আবার যদি ঘরে জল ঢুকে যায় তাহলে আরও বিপদ। সারা বাড়িতে পা রাখার কোনও জায়গাই থাকবে না। এত কিছু বলে আপনার বর্ষার আমোদকে নষ্ট করে দিচ্ছি, তা ভাববেন না। যদি কিছু ব্যাপারে সাবধান থাকেন তাহলে এই বর্ষায় রোমান্টিজমের কোনও অভাব হবে না।
আরও শুনুন:একঘেয়েমি না-পসন্দ, কীরকম পর্ন পছন্দ করে মেয়েরা?
প্রথমেই স্যাঁতসেতে ভাব কাটিয়ে ঘরকে ঝকঝকে করতে হবে। ঘর স্যাঁতস্যাঁতে থাকলে তা অস্বাস্থ্যকর। পোকামাকড় বংশবৃদ্ধি করতে পারে। রান্নাঘর, আলমারি, মেঝে- এইসব জায়গাকে বারবার জীবাণুমুক্ত করুন। বাজারে অনেক জীবাণুনাশক স্প্রে পাওয়া যায়, তবে এগুলো বেশি ব্যবহার করলে আমাদের শরীরের ক্ষতি হতে পারে। হাতে যদি একটু সময় থাকে বাড়িতেও এটি সহজে বানিয়ে ফেলা যায়। দু ছিপি ভিনিগারে ৫০০মিলি জল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এই গন্ধটা নাকে খুব একটা ভাল নাও লাগতে পারে তাই এর সঙ্গে এসেনশিয়াল অয়েল মেশান। এই অর্গ্যানিক জীবাণুনাশক স্প্রে দিয়ে নিজের বাড়ির নানান অংশকে জীবাণু মুক্ত করুন।
আরও শুনুন: Lucknow-এর রামায়ণ যোগ, লক্ষ্মণের নাম থেকেই কি হয়েছে নামকরণ?
বর্ষাকালের সবথেকে বড় সমস্যা হল বাড়ির দেওয়াল বেয়ে জল পড়া। এর সমাধান করতে হবে বাড়ি তৈরির প্রথমেই। প্লাস্টার করার সময় ওয়াটার ফ্রুফিং প্লাস্টার ব্যহহার করুন। বর্ষা আসার আগেই ভাল করে দেখে নিন দেওয়াল, ও ছাদের মধ্যে কোনও ফাটল আছে কি না। যদি থাকে, স্থান ও ফাটলের আকার অনুযায়ী পিভিসি ওয়াটার প্রুফিং করিয়ে এই ফাটলের মেরামত করুন। দেওয়াল জল টানতে শুরু করলে ওয়াটার প্রুফিং ও সিলেন্ট স্প্রে করুন। এর ফলে বাড়ির ভিতরে বৃষ্টির জলের ছাট আসবে না। এসি ওপেনিং, ভেন্টসে ফাটল থাকলে সেটাও বর্ষা আসার আগেই মেরামত করে নিন।
অনেকেই ঘরে বা ব্যালকনিতে উডেন ফ্লোরিং করান। বর্ষার জলে কাঠ ফুলে উঠতে পারে। এছাড়া কাঠের আসবাবেও জলের ছিটে আসতে পারে। বর্ষা আসার আগেই কাঠের জিনিস পালিশ করিয়ে নিন। এইসময় রোজ ডাস্টিং কিন্তু মাস্ট।
বাকিটা শুনুন প্লে বাটন ক্লিক করে।