সাধ করে বিরিয়ানি কিনে এনেছেন। কিন্তু একি, সেখানে মাংসের চিহ্নমাত্র নেই। মানে চিকেন বিরিয়ানির টাকা নিলেও চিকেন ছাড়াই বিরিয়ানি দিয়েছে রেস্তরাঁ। রেগে গিয়ে দোকানের বিরুদ্ধেই মামলা ঠুকলেন ব্যক্তি। কী হল তারপর? আসুন শুনে নিই।
বিরিয়ানি খেতে পছন্দ করেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। অলিতে গলিতে বিরিয়ানির দোকানও চোখে পড়ে যথেষ্টই। সাধারণ দোকানে ১৫০-২০০ টাকাতেই মেলে সুস্বাদু মাংসের এই পদ। কিন্তু সেখানে যদি মাংসই না থাকে তাহলে তো সমস্যা হবেই। সম্প্রতি তেমনই এক সমস্যায় পড়ে বিরিয়ানির দোকানের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকলেন এক ব্যক্তি।
আরও শুনুন: সময় বাঁচাতে সব রান্না প্রেসার কুকারে, অজান্তে শরীরের ক্ষতি করছেন না তো?
ঘটনাটি বেঙ্গালুরুর। সেখানকার এক দোকানে কয়েকমাস আগে বিরিয়ানি কিনতে গিয়েছিলেন এক দম্পতি। ১৫০ টাকায় এক প্লেট বিরিয়ানি। দোকানে না খেয়ে তা প্যাক করে বাড়ি নিয়ে আসেন তাঁরা। ইচ্ছা ছিল ঘরে বসে জমিয়ে বিরিয়ানি খাবেন। কিন্তু প্যাকেট খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ। বিরিয়ানি রয়েছে ঠিকই কিন্তু মাংস কই! তন্ন তন্ন করে খুঁজেও এক টুকরো মাংস পাননি তাঁরা। বাধ্য হয়েই ওই রেস্তরাঁয় ফোন করেন ব্যক্তি। ওপার থেকে সব শুনে মাংস পাঠানোর আশ্বাসও দেন রেস্তরাঁর মালিক। তাঁদের দাবি ছিল, ভুলবশত এমনটা হয়ে গিয়েছে। ব্যক্তির দাবি, রেস্তরাঁর তরফে তাঁকে বলা হয় মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মাংস পাঠানো হবে। কিন্তু কোথায় কি! ঘন্টার পর ঘণ্টা কেটে গেলেও কোনও মাংস পাঠানো হয়নি। এদিকে খিদের চোটে রীতিমতো রেগে যান ওই দম্পতি। সেদিন বার বার ফোন করা সত্ত্বেও রেস্তোরাঁর তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে আরও চটে যান তিনি। পরেরদিন সোজা অভিযোগ জানান কনজিউমার ফোরামে। সেখানে সবিস্তারে সবটা জানান তিনি। একইসঙ্গে দাবি করেন ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩০ হাজার টাকা দিতে হবে তাঁকে। ঘটনার জল গড়ায় আদালত অবধি। এবার নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয় ওই রেস্তোরাঁও। তবে এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি কোনও উকিলের সাহায্য নেননি। নিজেই নিজের হয়ে সওয়াল করেন। অবশেষে তাঁর যুক্তি মেনে নেন বিচারপতিও। ওই রেস্তরাঁকে ১০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। এবং রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ তা মেনে নিতে বাধ্য হয়। একইসঙ্গে ওই বিরিয়ানির দামও ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি।