বাবা-মায়ের যৌনতা! এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছিলেন জনপ্রিয় ইউটিউবার রণবীর এলাহাবাদিয়ার। সেই নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশ। নিন্দার ঝড় উঠেছে মূলত সমাজমাধ্যমে, অর্থাৎ যেখান থেকে রণবীরের উত্থান। তবে তিনি একা নন, এর আগেও একই মন্তব্য করেছিলেন এক ভারতীয় কমেডিয়ান। কার কথা বলছি? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
পোশাকি নাম ডার্ক কমেডি। নেটদুনিয়ায় বেশ জনপ্রিয়। নতুন নয়, বিগত কয়েক বছর ধরেই ট্রেন্ডিং। তবে কিছুদিন হল, এই ডার্ক কমেডি বা হিউমর নিয়ে মাথাব্যথা শুরু হয়েছে অনেকের। সৌজন্যে রণবীর এলাহাবাদিয়া। তাঁর মন্তব্য নিয়েই বেজায় শোরগোল চারদিকে।
ঠিক কী বলেছেন রণবীর, তা জানতে বাকি নেই কারও। যতই নিষেধাজ্ঞা থাকুক, সেই বিতর্কিত মন্তব্যের ভিডিও সবার ফোনে ফোনে ঘুরছে। আলোচনাও হচ্ছে দেদার। প্রতিবারই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন প্রায় সকলেই। এমনকি যে অনুষ্ঠানে রণবীর এই মন্তব্য করেছিলেন, সেই অনুষ্ঠান নিয়েও জোর বিতর্ক হচ্ছে। অথচ মজার বিষয়, রণবীর নিজে কোনও কমেডিয়ান নন। ডার্ক হিউমর দূরের কথা, তাঁর চ্যানেলে মূলত আত্মোন্নতির কথা শোনা যায়। তাঁর পডকাস্টে বড় মানুষ আসেন, জীবনের গল্প শোনান, সেই থেকে প্রেরণা নেয় তরুণ প্রজন্ম। এক অর্থে তরুণদের ভাবনাচিন্তা নিয়ন্ত্রণে রণবীরের পডকাস্টের ভূমিকা বেশ গুরুত্ব পেতে শুরু করেছিল অল্প দিনেই। কিন্তু একটা বিতর্কিত মন্তব্য সেই সমস্ত সাফল্যে জল ঢেলেছে। একবারে সাফল্যের চূড়া থেকে ধরাশায়ী হয়েছেন রণবীর। এখানেই চর্চায় আসছে আরও একটা তত্ত্ব। শোনা যাচ্ছে, একা রণবীর নন, এই প্রশ্ন আগেও করেছেন এক ভারতীয় কমেডিয়ান।
সময়টা বছর দশেক আগেকার। ২০১৫ সালে একই কথা বলেছিলেন কানন গিল। ইনি প্রথম জীবনে অভিনেতা ছিলেন। তবে পরবর্তীকালে কমেডির দুনিয়ায় নাম লেখান। কোনও এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেছিলেন কানন। যদিও সেখানে আলোচনার বিষয় ছিল ডার্ক কমেডি। রণবীরের ঘটনার পর সেই অনুষ্ঠানের ভিডিও নতুন করে চর্চায়। যেখানে একেবারে হুবহু একই মন্তব্য করছেন কানন। যদিও তিনি নিজে এ বিষয়ে কোনও উত্তর দেননি। প্রশ্ন ছুঁড়েছিলেন, বলিউড অভিনেতা জ্যাকি ভাগনানিকে। পুরোটাই হয়েছে মজার ছলে এবং বিষয়টাকে অন্যভাবে দেখেননি কেউই। অথচ বাবা-মায়ের যৌনতা নিয়ে সেখানেও একইরকম মন্তব্য ছিল। তাতেই নেটদুনিয়ার প্রশ্ন, ২০১৫ সালের মানুষের ভাবনা কি অন্যরকম ছিল? যে বিষয়কে নিয়ে কেউ মাথা ঘামায়নি এতদিন, সেই বিষয় নিয়ে ২০২৫ সালে এতটা ভয়ঙ্কর চর্চা! প্রশ্ন থাকুক, চর্চা চলুক, তবে যেভাবে বিষয়টা দেখা হচ্ছে তা হয়তো শঙ্কার। অন্তত বাকস্বাধীনতার ক্ষেত্রে তো বটেই। এমনটাও মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।