বিয়ে ঘিরে নানা স্বপ্ন থাকে যে কোনও যুগলেরই। বিয়ের সাজই হোক কি খাবারের মেনু, কিংবা বিয়ের কার্ড, সবকিছুই যাতে আর পাঁচজনের থেকে আলাদা হয়, তেমনটা তো সকলেই চান। সেই ইচ্ছে থেকেই বিয়ের কার্ডে অভিনব চমক দিয়েছেন বাংলাদেশের এই যুগল। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
বিয়ে মানেই জীবনের একটা বিশেষ দিন। সুতরাং সবকিছুই যেন বিশেষ হয়, সেদিকেই নজর থাকে যে কোনও যুগলের। অন্য কারও বিয়ের সঙ্গে যেন ভুল করেও কোনোরকম সাদৃশ্য এসে না পড়ে, সে বিষয়ে বাড়তি সতর্ক থাকেন অনেকেই। আর সেই কারণেই খোঁজ পড়ে নিত্যনতুন অভিনবত্বের। আর এই নতুনত্বের খোঁজ শুরু হয় একেবারে প্রথম পর্বেই, যখন বিয়ের জন্য আমন্ত্রণপত্র তৈরি করা হয়। সকলেই চান তাঁদের বিয়ের কার্ডটি যেন একেবারে অন্যরকম হয়। আর পাঁচজনের থেকে একেবারে আলাদা। তেমনটাই ভেবেছিলেন এই যুগলও। তবে সেই অভিনবত্বের পরিচয় দিতে তাঁরা যে পথে হেঁটেছেন, তাতে রীতিমতো চমকে গিয়েছেন বাকিরা। কারণ সেই বিয়ের কার্ডটি আমন্ত্রণপত্র, নাকি একটি গবেষণাপত্র, তাই বোঝা মুশকিল!
আরও শুনুন: চেনা-পরিচিতের বিয়েতে নেমন্তন্ন না পেয়ে অভিমান! নিজেকে সামলাবেন কীভাবে?
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশের ওই যুগলের বিয়ের আমন্ত্রণপত্র। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে, তাঁদের নাম সঞ্জনা তাবাসসুম স্নেহা ও মাহজিব হোসেন ইমন। বিয়ের কার্ডে একেবারে উপরের দিকে রয়েছে যুগলের নাম এবং তাঁদের বাবা-মায়ের নাম। রয়েছে যোগাযোগ করার নম্বর। এ পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু গোটা কার্ডটিই যে সাজানো একটি গবেষণাপত্রের আদলে। গবেষণাপত্রের শিরোনামের মতো করে লেখা হয়েছে বিয়ের আমন্ত্রণের কথা। বর কনের নামের সঙ্গেও তথ্যসূত্রের মতো করে জোড়া হয়েছে তাঁদের মা-বাবার নাম। এ ছাড়াও গবেষণাপত্রের ধাঁচ অনুযায়ী ভূমিকা, স্থান, গবেষণা পদ্ধতি, সময়সীমা, উপসংহার সবই গুছিয়ে লেখা রয়েছে আমন্ত্রণপত্রে। তবে সবকিছুরই বিষয় বিয়ে। আর এই অভিনব কার্ড দেখেই কার্যত চমকে গিয়েছেন সকলে। কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর তা দেখে তাজ্জব নেটিজেনরাও। নির্ঘাত দুই গবেষকের বিয়ে হচ্ছে, আর সেই কারণেই কার্ডের জায়গায় চলে এসেছে গবেষণাপত্র, এমন বলেই ঠাট্টা করতে ছাড়ছেন না নেটিজেনরা।