দ্বিতীয়বার বিয়ের শখ হয়েছিল ব্যক্তির। কিন্তু কিছুতেই পাত্রী খুঁজে পাচ্ছিলেন না। সমস্যা একটাই, মাথাভরতি টাক। শেষমেশ পরচুলা বলে বিয়ে করতে যাবেন বলে ঠিক করেন তিনি। তবুও শেষরক্ষা হয়নি। বিয়ের দিন হাতেনাতে ধরা পড়ে বেজায় বিপাকে পড়েন ওই ব্যক্তি। কী হল তারপর? আসুন শুনে নিই।
বিয়ের সাজে বসে আছেন বর। আর সকলে তাঁকে ধরে মারছেন। সিনেমায় বা গল্পে নয়, বাস্তবেই এক ভাইরাল ভিডিওতে ধরা পড়েছে এমন ঘটনা। ভাবছেন তো, কী এমন অপরাধ করেছেন বরমশাই? না, তিনি কোনও চুরি বা ডাকাতি করেননি। কিংবা খারাপ কোনও আচরণও করেননি। দোষ বলতে, স্রেফ পরচুলা পরে বিয়ে করতে এসেছেন।
আরও শুনুন: পরিবারের ৯ জনের জন্ম একই তারিখে! নাম উঠল গিনেস বুকেও
ছেলের মাথাভর্তি টাক, এমনটা দেখলে কেউ কি আর বিয়ে দিতে চাইবেন! এক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। মাথায় চুল না থাকায় কিছুতেই আর বিয়ে হচ্ছিল বিহারের এক ব্যক্তির। এদিকে তিনিও বিয়ে করবেন বলে নাছোড়বান্দা। প্রথমবার নয়, দ্বিতীয়বার বিয়ের জন্য এতটা উতলা হয়ে উঠেছিলেন ওই ব্যক্তি। ঠিক করেন পরচুলা পরেই বিয়ে করতে যাবেন। সেইমতো ব্যবস্থাও হয়ে যায়। ঠিক হয় পাত্রীও। নির্দিষ্ট দিনে, বরের বেশে সেজে বিয়ে করতে হাজির হন তিনি। প্রথমে সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। রীতিমতো যত্ন করেই তাঁকে ঘরে বসিয়েছিলেন কনেপক্ষের লোকজন। কিন্তু কোনও কারণে ওই ব্যক্তির মাথার চুল নিয়ে তাঁদের সন্দেহ হয়। পরীক্ষা করতে প্রথমেই তাঁর পাগড়ি ধরে টান দেন কনেপক্ষের এক সদস্য। আর তখনই বেরিয়ে আসে আসল সত্যি।
আরও শুনুন: পছন্দসই বর খুঁজে দিলেই মিলবে ৪ লক্ষ টাকা! তরুণীর ঘোষণায় শোরগোল নেটপাড়ায়
পাগড়ির সঙ্গে যে পরচুলাও খুলে আসবে তা ভাবতেও পারেননি বরমশাই। এদিকে বিয়েবাড়ির লোকজন তো তাঁর এই রূপ দেখে রীতিমতো অবাক। এমনটা আগে জানলে বিয়ের কথা তাঁরা কিছুতেই ভাবতেন না। তাই সকলেই বেজায় চটে যান ওই ব্যক্তির উপর। এদিকে মান বাঁচাতে ফের পরচুলা পরার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু ততক্ষণে যথেষ্ট দেরি হয়ে গিয়েছে। যিনি প্রথমবার তাঁর পাগড়ি ধরে টান দিয়েছিলেন, তিনিই চড় থাপ্পড় মারতে শুরু করেন বরকে। বাকিরাও তাঁর সঙ্গে যোগ দিতে এগিয়ে আসেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাতজোড় করে সকলের কাছে ক্ষমা চাইতে শুরু করেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু তাতে যেন আরও জোরালো হয়ে ওঠে মারের তীব্রতা। এই ঘটনার ভিডিওই সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। সেখানেও ওই ব্যক্তিকে নিয়ে রীতিমতো হাসাহাসি শুরু করেছেন অনেকেই। এই অবস্থার জন্য ওই ব্যক্তিকেই দায়ী করেছেন নেটিজেনদের একাংশ। এমন প্রতারণা একেবারেই সমর্থনযোগ্য নয় বলেও দাবি করেছেন কেউ কেউ। অন্যদিকে ওই দ্বিতীয়বার বিয়ের জন্যও অনেকের কাছেই কটাক্ষের শিকার হয়েছেন বিহারের ওই ব্যক্তি।