রামজন্মভূমিতে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা ঘিরে দেশে সাজো সাজো রব। সেই আয়োজনে এবার জুড়ল নয়া মাত্রা। জানা গেল, ভিনদেশের অযোধ্যা থেকে মাটি আসছে রাম মন্দিরের জন্য। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
দীর্ঘ আন্দোলনের পর মিলেছিল বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির তৈরির অনুমতি। আর তারপর থেকেই রামজন্মভূমিতে রামমন্দির প্রতিষ্ঠার দিকে নজর গোটা দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের। লোকসভা নির্বাচনের আগেই ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হবে মন্দিরের দরজা। আর তার আগেই জানা গেল, অযোধ্যার মাটি আসছে রাম মন্দিরে। যে ঘটনাটি ধর্মীয় বিচারে রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ ভক্তদের কাছে। ভাবছেন, তাতে আর আশ্চর্য কী! অযোধ্যার মাটিতে রাম মন্দির গড়া নিয়েই তো এতদিন ধরে এত তর্কবিতর্ক চলেছে। তাহলে রামজন্মভূমিতে যে মন্দির গড়ে উঠছে তাতে তো অযোধ্যার মাটি থাকবেই। কিন্তু কথা হল, এই অযোধ্যা দেশের নয়, বিদেশের। রামায়ণের জন্মভূমি ভারত নয়, তার থেকে অনেক দূরে অবস্থিত সেই দেশটি। যার আগেকার নাম ছিল শ্যামদেশ, আর বর্তমান নাম থাইল্যান্ড। সে দেশ নিজেকে রামরাজ্য মনে করে বলেই এককালে তার রাজধানীর নাম ছিল অযোধ্যা। আর সেই দেশের মাটিই এবার মিলে যাবে রাম মন্দিরে।
আরও শুনুন: অয্যোধ্যায় তৈরি হচ্ছে রামলালার মূর্তি, সীতার ‘জন্মভূমি’ নেপাল থেকে এল বিশেষ শিলা
২০২০ সালের ৫ অগস্ট অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার পর থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়ে যায় মন্দির নির্মাণের কাজ। ভক্তদের অনুদানের সুবাদে ইতিমধ্যেই প্রয়োজনের চেয়েও বেশি অর্থ জমা পড়েছে শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টে। আর শুধু অর্থই নয়, আরও নানা কিছুই যোগ হয়েছে মন্দিরের সংগ্রহের তালিকায়। কেবল দেশ থেকেই নয়, বিদেশ থেকেও এমন কিছু জিনিস এসেছে মন্দিরের জন্য, ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক বিচারে যা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সেই তালিকায় এবার নয়া সংযোজন অযোধ্যার মাটি।
আরও শুনুন: রামের আদলে যোগী আদিত্যনাথের মূর্তি, উত্তরপ্রদেশের এই মন্দিরে পূজা পান খোদ মুখ্যমন্ত্রীই
আসলে থাইল্যান্ডের রাজারা নিজেদের রামের বংশধর হিসেবেই পরিচয় দিয়ে থাকেন। দেশটির শাসনভার বর্তমানে গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে থাকলেও, রাজার সাম্মানিক পদটি এখনও বজায় রয়েছে সে দেশে। সিংহাসনে অভিষেকের সময় ‘রাম’ উপাধি গ্রহণ করেন সেই রাজা। আর তাঁদেরই রাজধানীর নাম ছিল অযোধ্যা, স্থানীয় ভাষায় ‘অয়ুৎথ্য’। এখন দেশের রাজধানী পালটে গেলেও ওই অযোধ্যাতেই এখনও বংশপরম্পরায় বাস করে আসছেন ‘রাম’ উপাধিধারী সেই রাজবংশ। এ দেশের জাতীয় গ্রন্থও রামায়ণ। এমনকি সংবিধানে নিজেকে ‘রামরাজ্য’ বলে ঘোষণা করেছে থাইল্যান্ড। আর সেই দেশ থেকেই রাম মন্দিরের জন্য মাটি আসার বিষয়টিকে তাই বড় গুরুত্ব দিয়েই দেখছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ-সহ সমগ্র গেরুয়া শিবির।