অপেক্ষার মাত্র কয়েক মাসে। তারপরই অযোধ্যার পবিত্র ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত হবেন শ্রী রাম। মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠা ঘিরে ইতিমধ্যেই একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে হিন্দু পরিষদ। ঠিক কী কী হবে এই বিশেষ উৎসবে? আসুন শুনে নিই।
দীর্ঘ আন্দোলনের পর মিলেছিল বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির তৈরির অনুমতি। এই মন্দিরকে সামনে রেখেই একাধিক রাজনৈতিক প্রকল্পের পালে হাওয়া দিয়েছে দেশের গেরুয়া শিবির। মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদি। মন্দির তৈরির কাজও প্রায় শেষের দিকে। ইতিমধ্যেই ঘোষণা হয়েছে মন্দির উদ্বোধনের সম্ভাব্য দিনক্ষণ। এবার সামনে এল, মূর্তির প্রাণপ্রতিষ্ঠার খুঁটিনাটি।
আরও শুনুন: ঈশ্বরের ম্যাজিক! কোমা থেকে ফিরেই পায়ে হেঁটে অমরনাথ পৌঁছলেন ভক্ত
রাম মন্দির আন্দোলন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের থেকেও বড়, কিছুদিন আগে এমনই মন্তব্য করেছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন। মন্দিরে রাম মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা নিয়েও একাধিক কর্মসূচির পরিকল্পনা করেছে হিন্দু পরিষদ। উদ্যোগে সামিল হয়েছে বজরং দলও। জানা গিয়েছে, মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে শৌর্য যাত্রার আয়োজন করবে তারা। যাত্রা শুরু হবে সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ। তারপর প্রায় একমাস ধরে গোটা দেশের পাঁচ লক্ষ গ্রামে ঘুরবেন বজরং দলের সদস্যরা। মনে করা হচ্ছে, রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে এই শৌর্য যাত্রা বিশেষভাবে নজর কাড়বে দেশবাসীর। তবে এখানেই শেষ নয়। হিন্দু পরিষদের তরফে জানানো হয়েছে রাম মন্দিরে রঘুনন্দনের মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠা উদযাপন করা হবে গোটা দেশের বিভিন্ন মন্দিরে। দেশবাসীকে নিজেদের ঘরে প্রদীপ জ্বালানোর অনুরোধ করেছে হিন্দু পরিষদ। নির্দিষ্ট দিনে সকলের ঘরে ৫টি করে প্রদীপ জ্বালাতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে জানা গিয়েছে, ওই দিন দেশের বিভিন্ন মন্দিরেও বিশেষ পুজোর ব্যবস্থা করা হবে।
আরও শুনুন: জগন্নাথকে ছেড়ে যাওয়া বারণ, সোনার শিকলে বাঁধা পুরীর এই মন্দিরের হনুমান বিগ্রহ
হিন্দু পরিষদের আরও দাবি, রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠাকে সামনে রেখে দেশজুড়ে রামায়ণের প্রচারে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। শ্রী রামের লীলা দেশের সকলের মুখে মুখে ফিরুক, এমনটাই চাইছেন তাঁরা। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, প্রাণ প্রতিষ্ঠার উৎসব হবে দুদিন ধরে। এইসময় মন্দিরে উপস্থিত থাকবেন গোটা দেশের গণ্যমান্য অতিথিরা। থাকার সম্ভাবনা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদিরও। একই ভাবনা মন্দির কর্তৃপক্ষের। ট্রাস্টের তরফেও জানানো হয়েছে, তারা সবরকম ভাবে প্রস্তুত। যদিও সমগ্র মন্দিরের নির্মাণকাজ শেষ হতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে বলেই মনে করছে ট্রাস্ট। তবে তার আগেই, ২০২৩ সালের শেষের দিকেই ভক্তদের জন্য মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া সম্ভব হবে। আর সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সঙ্গেই রাজকীয় ভাবে প্রতিষ্ঠিত হবেন শ্রীরাম। স্রেফ অযোধ্যা বাসী নয়, দেশের অনেকেই যে সেই বিশেষ উৎসবের অপেক্ষাতেই দিন গুনছেন তা বলাই বাহুল্য।