সাপ লুডো খেলার কথা কে না জানেন! কিন্তু জানেন কি, হিন্দু ধর্মের তিন দেবতা, ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরও জড়িয়ে আছেন এই খেলার সঙ্গে! জেনে নিন সেই গল্প।
কবীর সুমন এক গানে লিখেছিলেন, “পাগল, পাগল, পাগল/ সাপ লুডো খেলছে বিধাতার সঙ্গে”। আজ্ঞে হ্যাঁ, বিধাতাও সাপ লুডো খেলেন বইকি। তাও একা একা নয়। তিন বিধাতা একসঙ্গে। হ্যাঁ, হিন্দু ধর্মে যে তিন দেবতাকে দেবসভায় সবার ওপরে স্থান দেওয়া হয়, বলছি তাঁদের কথাই। অর্থাৎ ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর। ভাবছেন, ঠাকুর দেবতা নিয়ে এ আবার কী ধরনের ছেলেমানুষি? খুলেই বলি।
আরও শুনুন: পাক তীর্থস্থানে আশ্চর্য সম্প্রীতি, হিন্দুর কোট্টারি দেবীই হয়ে ওঠেন মুসলমানের ‘নানি’
সাপ-লুডো খেলার কথা তো সবাই জানেন। প্রাচীন ভারতেই এই খেলার উৎপত্তি। পুরনো নাম মোক্ষ পটম্। আজকে একে নেহাত ছেলেখেলা মনে হয় বটে, কিন্তু এই নাম থেকেই আন্দাজ করা চলে, হিন্দু দর্শনের সঙ্গে রীতিমতো যোগ রয়েছে এই খেলাটির। কর্ম আর কাম, অর্থাৎ ডেস্টিনি আর ডিজায়ারের যে লড়াই মানুষের জীবনে চলে, এই খেলার মধ্যে দিয়ে সে কথাই বলা হয়েছে। ভাল-খারাপের দ্বন্দ্ব হিসেবেও দেখতে পারেন একে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, এহেন নীতিকথার সঙ্গে দেবতাদের যোগাযোগ থাকা খুবই স্বাভাবিক।
আরও শুনুন: Tokyo Olympics -এর রুপোর মেডেল নিলামে তুললেন এই খেলোয়াড়, কিন্তু কেন?
আজকের সাপ লুডো খেলার বোর্ড দেখলে অবশ্য সে কথা বোঝার উপায় নেই। কিন্তু দীপক সিংখাদা নামের এক গবেষক হাতে পেয়েছিলেন অনেক দিনের পুরনো একটা বোর্ড। তিনি প্রথমে আদৌ বুঝতেও পারেননি যে জিনিসটা আদতে কী। শিকাগোর ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে বসে দিব্যি একটা তালিকা বানাচ্ছিলেন, নেপাল আর তিব্বতের ছবির সংগ্রহ দেখে দেখে। সেইসব ছবির ভিড়েই দেখা গেল একটি নামহীন ছবি কীভাবে যেন এসে পড়েছে। ছবিটা বেশ পুরনো, বলাই বাহুল্য। আর কেমন যেন অদ্ভুতও। মনে হচ্ছে ধর্মের সঙ্গে কোনও যোগ রয়েছে ছবিটির। কারণ ছবিতে সগৌরবে উপস্থিত ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর। যেহেতু জাদুঘরের রেজিস্টারে এর কোনও এন্ট্রিই নেই, বোঝাও যাচ্ছে না ছবিটার উৎস কী। গবেষক ভদ্রলোক অবশ্য সহজে হাল ছেড়ে দেওয়ার পাত্র ছিলেন না। খুঁজতে খুঁজতে তিনি জানতে পারলেন, নেপালের ন্যাশনাল মিউজিয়ামে নাকি রয়েছে এই ছবিটির জুড়ি।
বাকি গল্প শুনে নিন প্লে-বাটন ক্লিক করে।