একটাই মাত্র লাড্ডু। আর তার দাম নাকি ২৪ লক্ষ টাকা! নিলামে এমনই দামে বিক্রি হল হায়দরাবাদের একটি গণেশ পুজোর প্রসাদ। কেন এমন দাম? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
কোনও অলংকার কিংবা পোশাক নয়। কোনও ঐতিহাসিক নিদর্শনও নয়। বরং নিলামে উঠেছে একটি লাড্ডু। নিলামের শেষে যার দাম নির্ধারিত হয়েছে ২৪ লক্ষ টাকা। আপাতভাবে সেই লাড্ডু হায়দরাবাদের এক গণেশ পুজোর প্রসাদ। কিন্তু তবে সেই লাড্ডুর নাকি রয়েছে বিস্তর গুণ। আর তা জানার পরেই লাইন লেগে গিয়েছিল ক্রেতাদের। শেষমেশ কর্মকর্তারা বাধ্য হন নিলামের আয়োজন করতে।
আরও শুনুন: রানি এলিজাবেথের ব্যবহৃত টি-ব্যাগ! ই-কমার্সে বিকলো সাড়ে ন’লক্ষ টাকায়
দক্ষিণ ভারতে গণেশপুজো এমনিতেই বেশ বিখ্যাত। কোথাও ঢাউস মূর্তি তো কোথাও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। হায়দরাবাদের বালাপুর মন্দিরের গণেশপুজোও গোটা দেশে বেশ প্রসিদ্ধ। শুধু পুজোই নয়। সেখানকার প্রসাদও বেশ প্রসিদ্ধ। সেই মন্দিরের লাড্ডু প্রসাদকে সৌভাগ্যের প্রতীকও বলে থাকেন অনেকে। এই লাড্ডুর সঙ্গে সঙ্গেই গৃহে আসে সুখ ও সমৃদ্ধি। স্বাভাবিক ভাবেই প্রসাদ পেতে প্রতিবারই পড়ে যায় কাড়াকাড়ি। আর সেই ভিড়ভাট্টা এড়াতেই মন্দির কর্তৃপক্ষ প্রতিবছর আয়োজন করেন নিলামের। তবে আর পাঁচটা সাধারণ লাড্ডুর মতো মোটেও দেখতে নয় এই প্রসাদ। আকারেও যেমন বিশাল, ওজনেও তেমনই ভারী এই লাড্ডু। ২৪ লাখি ওই লাড্ডুটির ওজনই নাকি ছিল ২১ কেজি।
আরও শুনুন: অতিরিক্ত সুন্দরী তাই আটক করেছে পুলিশ, অদ্ভুত দাবী মহিলার
চলতি বছরে ভি লক্ষ্মণ রেড্ডি নামের এক ব্যক্তির ভাগ্যে জোটে এই লাড্ডু। তিনিই নিলামে এই লাড্ডুর দাম হাঁকেন ২৪ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। তাঁকে ছাপিয়ে আর কারও ঘোষণা শোনা যায়নি। ফলত লাড্ডুর মালিকানা পান রেড্ডি।
আজ থেকে নয়, বিগত ২৮ বছর ধরে এমন আয়োজন করে আসছেন এই মন্দির কর্তৃপক্ষ। ১৯৯৪ সালে প্রথমবার যখন নিলামের আয়োজন করা হয়, তখন নাকি লাড্ডুর দাম উঠেছিল ৪৫০ টাকা। ২০১৯ সালে সেই মুল্য এসে দাঁড়ায় ১৭ লক্ষ টাকায়। কিন্তু গত দুবছর অতিমারীর কারণে বন্ধ ছিল নিলাম সভা। গণেশমূর্তি বিসর্জনের দিনই এ বছর আয়োজন করা হয়েছিল নিলামের। সেখানে হাজির ছিলেন কয়েক হাজার দর্শনার্থী। শুধু স্থানীয়রাই নয়, দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন প্রদেশের থেকেই মানুষ এসে জড়ো হয়েছিলেন এই নিলাম সভায়। তবে নিলাম সভায় থাকার জন্য রীতিমতো প্রবেশমূল্য দিতে হয়েছে তাঁদের। আর মোটেও কম নয় সেই অঙ্কটা। জনপ্রতি ২,১০০ টাকা করে গুনতে হয়েছে তাঁদের। তবে নিলামসভা থেকে প্রাপ্ত অর্থ মন্দিরের উন্নতির কাজেই ব্যবহার করা হয় প্রতিবার। তেমনটাই জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এবছরও তার অন্যথা হয়নি।