৩৫ বছর ধরে দেশমাতৃকার সেবা করেছেন। বিদেশি শত্রুর ঝড়-ঝাপটা থেকে বাঁচিয়ে গোটা দেশকে সুরক্ষিত রেখেছেন এতগুলো বছর ধরে। এমনই এক সেনা আধিকারিক তাঁর চাকরি জীবনের শেষদিনটি উৎসর্গ করলেন নিজের মায়ের উদ্দেশে। অবসরের দিন রীতিমতো সামরিক কায়দায় মার্চ করতে করতে ঘরে ঢুকে নিজের মা-কে স্যালুট করলেন তিনি। আর সেই ঘটনার ভিডিও প্রকাশ পেতেই, আবেগে ভাসল নেটদুনিয়া। আসুন, শুনে নিই।
সন্তানের সঙ্গে মায়ের সম্পর্ক তুলনাতীত। সন্তানের জন্য কী না করতে পারেন মা! উল্টোদিকে কৃতজ্ঞতা স্বীকারের ক্ষেত্রে সন্তানের ভূমিকাও নেহাত কম নয়। সে কথাই যেন নতুন করে মনে করিয়ে দিলেন এক সেনা আধিকারিক। নিজের মা-কে কর্মজীবনের শেষ দিনটি উৎসর্গ করছেন তিনি।
আরও শুনুন: সান্তা এত ‘মোটা’ কেন! জমছে বিতর্ক, রোগা সান্তার চেহারা বদলে গেল কীভাবে?
এমন ভালোবাসার উদাহরণ যিনি গড়েছেন তিনি ভারতীয় সেনার এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক রঞ্জন মহাজন। দীর্ঘ ৩৫ বছর ভারতীয় সেনার হয়ে কাজ করেছেন তিনি। অবসর গ্রহণের সময় তিনি ছিলেন ‘মেজর জেনারেল’ পদে। সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় তিনি একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। দেশমাতৃকার পাশাপাশি তাঁর গর্ভধারিণী মায়ের প্রতিও যে অকৃত্রিম ভালোবাসা রয়েছে, তাঁরই পরিচয় মিলেছে এই ভিডিও-তে। ভিডিওটির শুরুতে অবশ্য এ সব কিছুই বোঝা যায় না। দেখা গিয়েছে,কড়া নাড়ার শব্দ শুনে দরজা খুললেন এক মহিলা। তাঁকে পাশ কাটিয়ে দরজা দিয়ে মার্চ করতে করতে ভিতরে ঢুকলেন সেনার পোশাক পরা এক ব্যক্তি। বাড়ির ভিতরে থাকা প্রায় সকলকেই উপেক্ষা করে তিনি মার্চ করতে করতে এগিয়ে গেলেন ভিতরের ঘরে। সেখানেই সোফায় বসেছিলেন অন্য এক মহিলা। তাঁকে দেখে সামরিক ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে পড়লেন তিনি। তারপর মহিলাকে স্যালুট করলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু একইভাবে ওই মহিলা স্যালুট করার জন্য হাত তুলতেই তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন সেনার পোশাক পরা ব্যক্তিটি। আসলে, ওই ব্যক্তি আর কেউ নন স্বয়ং মেজর জেনারেল রঞ্জন মহাজন। ভিডিওতে থাকা মহিলা হলেন মেজর জেনারেলের মা। দীর্ঘ ৩৫ বছরের চাকরিজীবন শেষ করে এভাবেই নিজের মা-কে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তিনি। আর সেই ভিডিও দেখেই আবেগে ভেসেছে নেটদুনিয়া।
আরও শুনুন: দেশের গরিবদের স্বার্থে বিশ্বকাপের সমস্ত উপার্জন দান, সিদ্ধান্ত মরক্কোর ফুটবলারের
ভিডিওটির ক্যাপশনেই নিজের কথা লিখে দিয়েছেন মেজর। উল্লেখ করেছেন, সেনার উর্দি খুলে ফেলার আগে এটি তাঁর শেষ স্যালুট। যা নিজের মায়ের জন্য উৎসর্গ করলেন তিনি। এবং এই সব কিছুই নাকি মায়ের জন্য সারপ্রাইজ ছিল। তাই ছেলের কাছ থেকে এমন উপহার পেয়ে বেজায় খুশি হয়েছেন মেজর জেনারেলের বৃদ্ধা মা-ও।