আচমকা ছাঁটাইয়ের খাঁড়া ঘাড়ে নেমে এলে রাগ কার না হয় বলুন? হতাশাও আসে। রেগেমেগে পুরনো সংস্থার বিরুদ্ধে দু-চারটে খারাপ কথাও বলে ফেলেন লোকে। তাই বলে রাগের মাথায় সংস্থার সম্পত্তি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা বোধহয় বিরল। তবে তেমনটাই করলেন এক কর্মী। ঠিক কী করেছেন তিনি? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
প্রতিশোধের আগুন যাকে বলে, এ যেন একেবারে তাই। আর সেই আগুনেই ছাড়খার হয়ে গেল সংস্থার একটি বিলাসবহুল সম্পত্তি। না, অবশ্য ঠিক আগুনে নয়। তবে রীতিমতো বুলডোজার এনে হ্রদের পাশের সম্পত্তিটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। না সরকার বা প্রশাসন নয়। বরং গোটা ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন সংস্থারই এক প্রাক্তন কর্মী।
আরও শুনুন: ডিভোর্স পার্টিতে কাজ পেয়েছিলেন বেয়ারার, শেষমেশ তরুণীকে বিয়েই করে ফেললেন যুবক
কিছু দিন আগেই ৫৯ বছরের সেই ব্যক্তিকে সংস্থা থেকে ছাঁটাই করেন কর্তৃপক্ষ। আচমকা চাকরি যাওয়ার রাগ-ক্ষোভ প্রতিশোধে রূপান্তরিত হতে সময় লাগেনি। আর সেই রাগে যে এমন ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ নেবেন তিনি, তা বোধহয় দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি কর্তৃপক্ষ। কী করেছেন তিনি? আস্ত একটা বুলডোজার এনে হ্রদের পাশের ওই বিলাসবহুল সম্পত্তির একটি অংশ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেন ওই কর্মী। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেই।
সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে কানাডার ক্যালগারিতে। তবে প্রতিশোধের ঠেলা আপাতত সুদে আসলে গুনতে হচ্ছে ওই ব্যক্তিকে। চাকরি থেকে তো আগেই বহিষ্কৃত হয়েছিলেন তিনি। এবার তাঁকে টানতে হবে জেলের ঘানিও। তার সঙ্গে রয়েছে বিপুল পরিমাণ জরিমানা। যা দিতে হতে পারে ওই ব্যক্তিকে। খুব শিগগিরই আদালতে পেশ করা হবে ওই ব্যক্তিকে।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, হ্রদের পাশের ওই গোটা সম্পত্তির অন্তত একটি বাড়ি তো সম্পূর্ণ রূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে ওই ঘটনায়। তবে কেউ চোট পাননি। ওই সম্পত্তির মালিক গর্ডি নিউল্যান্ডসের কথায়, “এ যেন গল্প। বাস্তবে যে কেউ এমন পাগলামী করতে পারেন, তা না দেখলে বিশ্বাস হয় না।”
আরও শুনুন: সপ্তাহে একদিন প্রেমিকাকে নিমন্ত্রণের অনুমতি বন্দিদের, কোথায় আছে এমন জেল?
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ভিডিওটি। আড়াই লক্ষেরও বেশি মানুষ দেখেছেন ভিডিওটি। নেটিজেনদের মজার মন্তব্যে ভরেছে সেই পোস্টও। কেউ বলেছেন, খেটে খাওয়া শ্রেণির উত্থান বলা যেতে পারে এই ঘটনাকে। কেউ আবার আঁতকে উঠেছেন এমন ধ্বংসলীলা দেখে। তবে পূর্বতন সংস্থার প্রতি এই ধরনের প্রতিশোধস্পৃহা যে বিরল, তা এককথায় মেনেছে নেটদুনিয়া।