জন্ম-মৃত্যু কোনওটাই মানুষের হাতে থাকে না। কালের নিয়মে সবাইকে একদিন না একদিন চলে যেতেই হবে। যদিও জ্যোতিষবিদ্যায় পারদর্শীদের দাবি অনুযায়ী, মৃত্যুর আভাস আগে থেকেই পেয়ে যায়। তবুও মৃত্যু নিয়ে বেশিরভাগ মানুষেরই মনে একটা অজানা ভয় থেকে যায়। কিন্তু সেই তালিকায় প্রধানমন্ত্রী কি রয়েছেন? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
জন্মিলে মরিতে হবে। চিরসত্য। ভুল প্রমাণের উপায় নেই। কালের নিয়ম সবাইকে বিদায় নিতে হবে। কবে, কোথায়, কীভাবে, তা কেউ জানে না। জ্যোতিষবিদ্যায় পারদর্শীরা অবশ্য দাবি করেন, আগে থেকে মৃত্যু আভাস পাওয়া সম্ভব। তবে তা কতটা সত্যি, কতটা মিথ্যে, তর্কের বিষয়। এদিকে, তাই মৃত্যু নিয়ে অজানা ভয় কমবেশি সকলকেই ঘিরে ধরে। সেই তালিকায় প্রধানমন্ত্রী কি রয়েছেন?
:আরও শুনুন:
তিনদিন উপোস করে মোদির সাক্ষাৎকার নেবেন! কেন এমন দাবি মার্কিন সাংবাদিকের?
এমনটাই প্রশ্ন ছিল লেক্স ফ্রিডমানের। আমেরিকান পডকাস্টার। এর আগে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মুখোমুখি আলাপচারিতা সেরেছেন। এবার তাঁর আসরে হাজির ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আগে থেকেই ঠিক ছিল এই অনুষ্ঠানের। যার সম্প্রচার হয়েছে সদ্যই। আর সেখানেই দেখা গেল, কত ধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তাঁদের মধ্যে। এসেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ। তাতে মোদি জানিয়েছেন, রণক্ষেত্রে কখনও সমস্যার সমাধান মেলে না। যুদ্ধ থামিয়ে শান্তি ফেরানোর কথাই বলেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, গুজরাট দাঙ্গা থেকে ভারতের বিভিন্ন ঘটনার কথা সরাসরি মোদির কাছে জানতে চেয়েছেন মার্কিন পডকাস্টার। কোনও প্রশ্নের উত্তরই এড়িয়ে যাননি মোদি। বরং যুক্তি দিয়ে বুঝিয়েছেন, তাঁর বক্তব্য। মজা করা, ভারত-পাকিস্তান প্রসঙ্গও তোলেন লেক্স। তবে কূটনৈতিক ক্ষেত্রে নয়, খেলার প্রসঙ্গে। তাতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির কথা উল্লেখ করে, ভারতীয় দলের প্রশংসা করেছেন মোদি। বলেছেন, ‘ফলাফলই বলে দেয় কারা সেরা।’ দীর্ঘ আলোচনায় নানা প্রশ্ন উঠেছে। তার মধ্যে কয়েকটি নিয়েই মূলত আলোচনা চলছে। যেমন, জীবন-মৃত্যুর প্রসঙ্গে মোদির মন্তব্য।
:আরও শুনুন:
তিনদিন উপোস করে মোদির সাক্ষাৎকার নেবেন! কেন এমন দাবি মার্কিন সাংবাদিকের?
মোদি কি মৃত্যুভয় পান? প্রশ্নের ধরন ছিল খানিকটা এরকম। তাতে মোদি সপাট উত্তর দেননি। অর্থাৎ এক কথায় হ্যাঁ বা না বলে এড়িয়ে যাননি। এই ধরনের প্রশ্নে এর আগেও মোদি জীবন দর্শনের কথা বলেছেন। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। তাঁর কথায়, জীবন এবং মৃত্যুর মধ্যে মৃত্যুই সবচেয়ে নিশ্চিত। সুতরাং, যা ঘটবেই তা নিয়ে ভয় পেয়ে কি লাভ! আগে থেকে মৃত্যু নিয়ে চিন্তা করে জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়ে ফেলার কোনও মানে হয় না, এমনটাই মনে করেন নমো। তাই মৃত্যু ভয় ভুলে জীবনকে আলিঙ্গন করার কথাই মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। কোনও নেতিবাচক চিন্তাকে প্রশ্রয় দিতে চান না জীবনে। প্রতিদিন নতুন কিছু শিখতে চান। মৃত্যুভয়কে ছেড়ে ফেলতে পারলেই বাঁচার আসল আনন্দ খুঁজে পাওয়া যাবে। নানা কথায় এভাবেই নিজের বক্তব্য বুঝিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।