খাবারে ভেজাল নতুন কিছু নয়। কিছুদিন আগে মশলায় ভেজালের অভিযোগে দেশজুড়ে শোরগোল পড়েছিল। এ দেশের একাধিক নামী মশলার ব্রান্ডকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় বিদেশে। সেই তালিকায় এবার জুড়ল নুন এবং চিনি। অতি প্রয়োজনীয় এই দুই খাদ্যদ্রব্যেও খোঁজ মিলছে মাইক্রোপ্লাস্টিকের। কী জানাচ্ছে নতুন গবেষণা? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
এক দেশ এক আইন। ধর্মের ভিত্তিতে কোনও আলাদা আইনি ব্যবস্থা থাকবে না দেশে। এই পদক্ষেপ করতে তৎপর কেন্দ্র। সম্প্রতি স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে এই ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একইভাবে এই ব্যবস্থা চালু করার কথা বলেছিলেন আম্বেদকর। জানিয়েছিলেন, মাত্র ২ দিনে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি তৈরি করা সম্ভব।
অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বা ইউনিফর্ম সিভিল কোড চালুর জন্য আগেও উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। তা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। বরাবরই বিরোধীদের সমালোচনার আঙুল উঠেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিকে। আসলে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হলে বর্তমানে মুসলিমদের যে নিজস্ব পৃথক দেওয়ানি বিধি চালু রয়েছে, তা নাকচ হয়ে যাবে। অস্তিত্ব হারাবে মুসলিম ল বোর্ড। আর সেইখানেই আপত্তি মুসলিম সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশের। তাই মোদি সরকার অভিন্ন দেওয়ানি বিধি রূপায়ণের উদ্যোগ নিলেই, তার বিরোধিতা হয়েছে। সুর চড়িয়েছে কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলিও। অবশ্য মোদির আগে এই বিধির সমর্থনে কথা বলেছিলেন জওহরলাল নেহরু স্বয়ং। সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশে একটিই অভিন্ন আইন লাগু হবে, এমন স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। একইভাবে দেওয়ানি বিধির চালুর কথা বলেছিলেন সংবিধান প্রণেতা বি আর আম্বেদকরও। অভিন্ন আইন চালু হওয়ার বিপক্ষে যারা কথা বলেছিলেন, তাঁদের বিপক্ষেই সওয়াল করেন আম্বেদকর। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে সময়ের প্রসঙ্গও। সংবিধানের খসড়া তৈরি কয়েক বছর সময় লেগেছিল। সেদিকে ইঙ্গিত করেই আম্বেদকর বলেন, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি মাত্র দুদিনে তৈরি করে ফেলা সম্ভব। সবার সম্মতি পেলে মাত্র আধ ঘণ্টায় তা সংসদে পাস হয়েও যেতে পারে।
যদিও সেইসময় অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু হয়নি। ১৯৯১ সালে আইনমন্ত্রী হিসেবে পদত্যাগ করেন আম্বেদকর। এরপর সংসদে এ প্রসঙ্গ বহুবার উঠেছে। বিতর্ক পালটা বিতর্কে কাটাছেঁড়া চলেছে অভিন্ন আইনের বাস্তব রূপায়ন নিয়ে। এমনকি লোকসভা নির্বাচনের আগেও গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে ওঠে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি অনেকটাই বদলে দেয়। কিছুদিন আগেই ওয়াকফ বোর্ডের একছত্র ক্ষমতায় রাশ টেনেছে কেন্দ্র। সেই প্রসঙ্গ ধরে অনেকেই ভেবেছেন অভিন্ন দেওয়ানি বিধি লাগু হওয়ার কথা। স্বাধীনতা দিবসে মোদির ভাষণেও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। এই আবহে এ প্রসঙ্গে আম্বেদকরের বক্তব্যও নতুন করে সামনে এসেছে।