নিয়মিত পর্ন দেখার অভ্যাস রয়েছে? কল্পনায় ভেসে আসেন জনপ্রিয় পর্ন তারকাদের অনেকেই? অথচ হাজার চাইলেও তাঁদের বাস্তবে ছুঁয়ে দেখার সুযোগ নেই। এবার বদলাতে পারে এই ধারনাও। তেমনই সুযোগ করে দিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ঠিক কীভাবে? আসুন শুনে নিই।
লেখা, আঁকা এমনকি গান গাওয়া, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সবেতেই সিদ্ধহস্ত। AI-র বাড়বাড়ন্তে একদিকে যেমন চিন্তার ভাঁজ বিজ্ঞানীদের কপালে, অন্যদিকে তেমনই আবিষ্কার হতে থাকছে নতুন ধরনের প্রযুক্তি। কিন্তু তাই বলে যৌনতার ক্ষেত্রেও একইভাবে বাজিমাত করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা! এমনটা হয়তো অনেকেই ভাবেননি।
আরও শুনুন: তুমুল জনপ্রিয়, তবে একটি শর্তেই ক্যামেরার সামনে সঙ্গমে রাজি হন এই পর্ন অভিনেত্রী
সম্প্রতি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে যৌনতার ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা যায় কি না, সেই নিয়েই গবেষণা শুরু করেছিলেন একদল বিজ্ঞানী। আর সেখানেই উঠে এসেছে বিস্ফোরক কিছু পর্যবেক্ষণ। এর আগে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছিলেন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে সঙ্গী ছাড়াই চরম সুখের অনুভূতি হতে পারে। তবে এবার তাঁদের দাবি আরও মারাত্মক। এআই এর দৌলতে এবার পছন্দের পর্ন অভিনেত্রীর সঙ্গেও যখন খুশি মিলিত হওয়ার সুযোগ মিলতে পারে। ভাবছেন তো এমনটা কীভাবে সম্ভব? নতুন প্রযুক্তিটির নাম টেলিডিলডোনিক্স। আসলে পর্ন ভিডিও দেখার ক্ষেত্রে বিশেষ এক উপায় হল ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি। এক্ষেত্রে পর্ন দেখার সময় তা চারপাশে ঘটছে বলেই মনে করেন দর্শকরা। চোখের উপর এক বিশেষ যন্ত্র লাগিয়ে নিলেই কাজ শেষ। ঠিক যেমনটা থ্রিডি সিনেমায় দেখা যায়, এখানেও খানিকটা তেমনই অনুভূতি হতে পারে। তবে তার বাস্তবতা আরও জোরালো হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পরীক্ষা চালাতে গিয়ে সেই ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির সঙ্গেই এআই জুড়েছেন বিজ্ঞানীরা। আর এতেই দর্শকদের সামনে খুলে গিয়েছে এক নতুন জগৎ। এই যন্ত্র পরে নিলে স্রেফ কল্পনাটুকুই যথেষ্ট। বাকিটা যন্ত্রের দৌলতে সারা হয়ে যাবে। আর সেই কল্পনায় যদি পছন্দের পর্ন অভিনেত্রী আসেন, তাহলে তাঁর সঙ্গে মিলিত হচ্ছেন এমন অনুভূতি হতে বাধ্য।
আরও শুনুন: তৃপ্তির আগেই শেষ যৌনতা! সময় বাড়াতে কার্যকর হতে পারে হস্তমৈথুন
কিন্তু প্রশ্ন হল এমনটা হয় কীভাবে?
সাধারণত পর্ন ভিডিও-র জন্য যেভাবে শ্যুটিং করা হয় ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির ক্ষেত্রে সেই নিয়ম খাটে না। এক্ষেত্রে আরও বেশি সময় দিতে হয় পর্ন তারকাদের। একই দৃশ্য বারবার বিভিন্ন কায়দায় শ্যুট করা হয়। সম্প্রতি এর সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যোগ করায় সেই কাজ হয়েছে আরও কঠিন। যেখানে সাধারণ পর্ন ভিডিও কয়েক ঘন্টায় শ্যুট করা যেত, এই বিশেষ পক্রিয়ার ক্ষেত্রে লাগছে কয়েকদিন। কিন্তু তাতে কি! দর্শকদের চাহিদার কথা ভেবে যে কোনও মূল্য দিতে রাজি পর্ন নির্মাতারা। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সংস্থা এই বিশেষ পদ্ধতির জন্য পর্ন ছবির শ্যুটিং শুরু করেছেন। একইসঙ্গে কিছু সংস্থা এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পর্ন বাজারে এনে বিপ্লব ঘটাতে চাইছেন। স্রেফ পর্ন দেখা নয়, দর্শকরা তা উপভোগও করুন, এমনটাই চাইছেন ওই নির্মাতারা।