বিয়ের রীতি হল সাত পাকে ঘোরা। কিন্তু হবু স্ত্রী শারীরিক ভাবে অক্ষম। তাই বলে কি সাত পাকে বাঁধা পড়া হবে না! ছক ভেঙে এবার তাই অভিনব কাজ করলেন বর। হবু স্ত্রীকে কোলে তুলে নিয়েই সাত পাকে ঘুরলেন তিনি। আসুন শুনি সেই গল্প।
তাঁদের দুজনের সম্পর্ক প্রায় বছর তিনেকের। ঠিক হয়েছিল দুজনের বিয়ে হবে। দুই পরিবারের সদস্যরা দেখাশোনা করেই এ বিয়ে ঠিক করেছিল। আর সেই বিয়েতেই ঘটল এক অভিনব ঘটনা। মেয়েটিকে অর্থাৎ কনেকে কোলে তুলে নিয়ে সাত পাকে ঘুরলেন বর অর্থাৎ ছেলেটি। কেননা কনে অর্থাৎ হবু স্ত্রী যে শারীরিক ভাবে অক্ষম।
আরও শুনুন: বছরখানেকেই ১ মিটার লম্বা, পোষ্য বিড়ালের বিশ্ব রেকর্ডের অপেক্ষায় মালকিন
না, গল্পটা অবশ্য এত সাদামাটা নয়। মেয়েটি যে আগাগোড়াই শারীরিক ভাবে অক্ষম ছিলেন, তা কিন্তু নয়। যখন তাঁদের সম্পর্কের সূত্রপাত, তখন কিন্তু এই অবস্থা ছিল না। দুই ফুটফুটে ছেলেমেয়ের বিয়েতেই মত দিয়েছিল পরিবারের সকলে। দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যেও ভালই মিলমিশ হয়ে গিয়েছিল। আচমকাই ঘটল এক দুর্ঘটনা। মেয়েটি পড়লেন দুর্ঘটনার কবলে। যার জেরে মেরুদণ্ডে মারাত্মক আঘাত পেলেন তিনি। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। তাতে প্রাণ বাঁচল বটে তবে শরীরের নিচের অংশ ক্রমে অসাড় হয়ে গেল তাঁর। আর এখান থেকেই গোলমালের শুরু। মেয়েটির এই অবস্থায় বিয়েতে বেঁকে বসেছিল পাত্রের পরিবার। চিন্তায় ছিল মেয়েটির পরিবারও। দুই পরিবারের সদস্যরা বসে ঠিক করেন, বিয়েটা ভেঙে দেওয়া হবে। আর এখান থেকেই নতুন দিকে গড়িয়ে গেল গল্পটা।
আরও শুনুন: হাত ফসকে খাবার পড়ল মেট্রোয়, নিজে হাতে পরিষ্কার করে প্রশংসা কুড়োল খুদে
দেখাশোনা করে বিয়ে ঠিক হলেও, ততদিনে ছেলেটি এবং মেয়েটি দুজন দুজনকে ভালবেসেছিলেন। সেই ভালবাসার হাত ছাড়েননি যুবকটি। পরিবারের তীব্র অমতের সামনেই তিনি জানিয়ে দেন যে, বিয়ে তিনি এই মেয়েটিকেই করবেন। বাড়ির মত না থাকলেও, যুবকের জেদে বসে বিয়ের আসর। এদিকে শরীরের নিম্নাঙ্গ অসাড় হওয়ার কারণে সাত পাকে ঘোরা সম্ভব হচ্ছিল না কনের। কিন্তু কুছ পরোয়া নেহি! সকলের সামনেই কনেকে কোলে তুলে নেন যুবকটি। আর পালন করেন বিয়ের রীতি।
আহমেদাবাদের এই যুবক ও যুবতীর গল্প সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়। আর তা দেখে নেটিজেনরা বলছেন, কর্কশ এই পৃথিবীতে এরকম ভালবাসার গল্পই তো বেঁচে থাকার রসদ জোগায়।