ঘটা করে বিয়ের আসর বসেছে গ্রামে। কিন্তু সেখানে সশরীরে উপস্থিত নেই স্বয়ং পাত্র-পাত্রীই! বদলে রয়েছে তাঁদের আবক্ষ মূর্তি। মূর্তির গলাতেই মলা পরিয়ে পালন করা হচ্ছে বিয়ের নিয়ম-কানুন। কোথায় গেলেন পাত্র-পাত্রী? আর এমন অদ্ভুত ব্যবস্থারই বা কারণ কী? আসুন শুনে নিই।
তাঁদের ভালোবাসা মেনে নেয়নি পরিবার। তাই একসঙ্গে আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এই যুগল। তাঁদের মৃত্যুর পর নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে পরিবারের সদস্যরা। তাই তাঁদের ভালোবাসাকে চিরকালের জন্য অমর করে রাখতে এক অভিনব ব্যবস্থা করেছেন তাঁরা।
আরও শুনুন: বেজায় যানজটে আটকে, লগ্ন না বয়ে যায়! মেট্রো চেপেই ছাদনাতলায় কনে
ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের তাপি জেলার একটি গ্রামে। গণেশ ও রঞ্জনা নামে ওই গ্রামেরই দুই তরুণ-তরুণীর মধ্যে ছিল গভীর প্রণয়ের সম্পর্ক। বেশ কিছুদিন একসঙ্গে কাটানোর পর তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা দুজনে ছিলেন দূর সম্পর্কের আত্মীয়। তাই তাঁদের এই সম্পর্কের কথা মেনে নিতে অস্বীকার করে দুই পরিবারের সদস্যরা। উপরন্তু তাঁদের সম্পর্কের কথা জানাজানি হতে দুই পরিবারের মধ্যে শুরু হয় চরম বিবাদ। তাঁদের সম্পর্কের জন্য পরিবারে শুরু হওয়া এই অশান্তি মেনে নিতে পারেননি ওই যুগল। গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তাঁরা।
আরও শুনুন: চায়ের দোকান খোলাই স্বপ্ন, মোটা মাইনের চাকরি হেলায় ছাড়লেন বাঙালি যুবতী
এর পরেই আশ্চর্য পরিবর্তন ঘটে উভয় পরিবারের মনোভাবে। নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন তাঁরা। এরপর কেটে যায় বেশ কয়েক মাস। এরই মাঝে দুই পরিবারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, গণেশ ও রঞ্জনার ভালোবাসাকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রয়োজন। সেই কারণে তাঁরা যুগলের আবক্ষ মূর্তি তৈরি করান। তারপর সেই আবক্ষ মূর্তিদুটিরই সমস্ত নিয়ম মেনে বিয়ে দেন তাঁরা। ঘটনার সাক্ষী থাকেন গোটা গ্রামের মানুষ। একথা সত্যি যে বাস্তবে তাঁদের ভালোবাসা কোনও স্বীকৃতি পায়নি। কিন্তু এই ঘটনার পর তাঁদের আত্মা যে পরম তৃপ্তি পাবে সেকথাই এখন বিশ্বাস করে দুই পরিবার।