অযোধ্যার রাম মন্দিরের নির্মাণ ও প্রতিষ্ঠা ঘিরে বিপুল আয়োজন আড়ম্বর সদ্যই দেখেছে দেশ। কিন্তু কেবল রাম মন্দিরেই এই অধ্যায়ের শেষ হচ্ছে না। অল্প দিনের মধ্যেই আরও অন্তত পাঁচ মন্দির প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে, রাম মন্দিরের মতোই সেসব প্রকল্পের অর্থমূল্যও কম নয়। শুনে নেওয়া যাক।
অযোধ্যায় রামলালাকে ফেরাতে ১৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে মন্দির। দেশবিদেশ থেকে এসেছে সে মন্দিরের উপকরণ। রাম মন্দিরের নামে অনুদান আর উপহার ঢেলে দিতেও কার্পণ্য করেননি ভক্তরা। সব মিলিয়ে এই মন্দির ঘিরে সাজো সাজো রব পড়েছিল গোটা দেশেই। কিন্তু রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়ে যেতেই যে সেই উন্মাদনায় ইতি পড়েছে, এমনটা ভাবার কারণ নেই। কারণ এই মুহূর্তে আরও অন্তত পাঁচ মন্দির প্রকল্পের দিকে তাকিয়ে আছে দেশ, যেসব মন্দির নির্মাণের জন্য রাম মন্দিরের মতোই বড় আয়োজন চলছে।
আরও শুনুন:
২৭ বছর আগে শুরু হয় নির্মাণ, ‘ওঁ’ আকৃতির মন্দিরে প্রতিষ্ঠা হাজার শিবলিঙ্গের
এর মধ্যে প্রথমেই বলতে হয় হাম্পির কথা। ঠিক মন্দির নয়, তবে রামভক্ত হনুমানের সবচেয়ে উঁচু মূর্তি গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এখানকার হনুমান জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। কিষ্কিন্ধ্যার কাছে ২১৫ মিটার উঁচু এই মূর্তিটি বানাতে মোটামুটি বছর ছয়েক সময় লাগবে বলে আন্দাজ। আর এর জন্য খরচ হতে পারে আনুমানিক ১২০০ কোটি টাকা।
অযোধ্যার রাম মন্দিরের পর বিহারের চম্পারনে গড়ে উঠতে চলেছে বিরাট রামায়ণ মন্দির। বিশ্বের সবচেয়ে বড় রামায়ণ মন্দির তকমা পাওয়ার লক্ষ্যেই এই মন্দিরের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে ২০২৩ সালে। খরচ হতে পারে মোটামুটি ৫০০ কোটি টাকা।
আরও শুনুন:
শুধু আবু ধাবি নয়, ভারতের বাইরে রয়েছে আরও হিন্দু মন্দির
বৃন্দাবনের নির্মীয়মাণ বৃন্দাবন চন্দ্রোদয় মন্দির ঘিরেও ভক্তদের আগ্রহ কম নয়। বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ ধর্মীয় সৌধ হতে চলেছে এই মন্দির। প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে এই মন্দির নির্মাণের জন্য। ২০২৬ সালের শেষদিকেই হয়তো ভক্তদের জন্য দরজা খুলবে এই মন্দির। এদিকে বৈষ্ণবদের জন্য বাংলার মায়াপুরেই শ্রী চৈতন্য চন্দ্রোদয় মন্দির গড়ে উঠতে চলেছে, যার আনুমানিক ব্যয় বরাদ্দ ৮৩০ কোটি টাকা। পঞ্চতত্ত্বের দেবতারা- রাধামাধব, নৃসিংহদেব এবং শ্রীচৈতন্য পূজা পাবেন এই মন্দিরে।
এদিকে পুরীর মতো দিঘাতেও জগন্নাথ মন্দির নির্মাণের ঘোষণা হয়েছিল আগেই। যে মন্দির নির্মাণের ব্যয় আনুমানিক ১৪৩ কোটি টাকা। চলতি বছরেই এই মন্দিরের দরজা খুলে যেতে পারে ভক্তদের জন্য। আর তার জন্যই আপাতত অপেক্ষার প্রহর গুনছেন জগন্নাথদেবের ভক্ত অনুরাগীরা।