জিনিসপত্রের নিলাম তো হয়েই থাকে, তা বলে প্রেমপত্রেরও নাকি নিলাম হচ্ছে! আর তার দাম শুনলে চোখ চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়! আজ্ঞে হ্যাঁ, প্রেমপত্রটি যে খোদ ধনকুবের ইলন মাস্কের লেখা। আর সেই প্রেমপত্র নিলামে তুলে কত লাভ হল তাঁর এক প্রাক্তন প্রেমিকার? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
কেবল পেশার কারণেই নয়, প্রেমের দৌলতেও বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। ফের সেই একই কারণে চর্চায় উঠে এল তাঁর নাম। তবে এবার তিনি নিজে নন, এক প্রাক্তন প্রেমিকার কর্মকাণ্ডের জেরেই আকস্মিকভাবে লাইমলাইট পড়েছে মাস্কের উপরে। ইলন মাস্কের দেওয়া যাবতীয় উপহার, এমনকি প্রেমপত্র পর্যন্ত নিলামে তুলেছেন সেই প্রেমিকা। আর সেই কাণ্ডকারখানা দেখেই রীতিমতো তাজ্জব সকলে।
আরও শুনুন: কিম কার্দাশিয়ানের মতোই মোহময়ী, তরুণী পুলিশকর্মীর হাতে ‘গ্রেপ্তার’ হতে ব্যাকুল অনুরাগীরা
জানা গিয়েছে, ১৯৯৪ সালে জেনিফার গোয়েন নামে এক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বর্তমানে বিশ্বের ধনীদের তালিকায় এক নম্বরে থাকা ইলন মাস্ক। সে সময়ে দুজনেই ছিলেন পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। বছর কুড়ি বয়সের দুই প্রেমিক প্রেমিকা একসঙ্গে বাসও করেছেন কিছুদিন। তারপর যথারীতি ভেঙেও গিয়েছে সেই প্রেম। তবে সেই সময়ে মাস্ক যা কিছু উপহার দিয়েছিলেন, সেই সব কিছুই এতদিন যত্ন করে রেখে দিয়েছিলেন তাঁর সেই সময়ের প্রেমিকা জেনিফার। কিন্তু ভেঙে যাওয়া সম্পর্কের স্মৃতিচিহ্নগুলিকে আর বহন করে চলতে চান না তিনি। তাই দীর্ঘ ২৮ বছর পরে সেই উপহারগুলিকে নিলামে তুললেন ইলন মাস্কের এককালের প্রেমিকা। জন্মদিনের কার্ড, কম বয়সের একাধিক ছবি থেকে শুরু করে পান্না বসানো সোনার লকেট পর্যন্ত রয়েছে তার মধ্যে। আর কেবল উপহারই নয়, মাস্ক তাঁকে যেসব প্রেমপত্র লিখেছিলেন, সেগুলিও আর নিজের কাছে রাখার কোনও ইচ্ছে নেই জেনিফারের। সুতরাং নিলামে তোলা জিনিসপত্রের তালিকায় সেই প্রেমপত্রগুলিকেও জুড়ে দিয়েছেন এই মহিলা।
আরও শুনুন: বেজায় সুন্দরী বলেই আটক করেছে পুলিশ, মহিলার অদ্ভুত দাবিতে চক্ষু চড়কগাছ নেটিজেনদের
আশ্চর্যের কথা হল, ধনকুবেরের এইসব চিহ্নগুলি সংগ্রহ করতেই রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে। চড়া দামেই জিনিসগুলিকে বিক্রি করতে পেরেছেন জেনিফার। জানা গিয়েছে, নিলামে সবচেয়ে বেশি দাম উঠেছে যে জিনিসটির, তা হল জেনিফারের জন্মদিনে লেখা ইলনের প্রেমপত্র। নিলামে ইলনের সেই চিঠির দাম উঠেছে ১২ হাজার ডলারেরও বেশি। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৯ লক্ষ ৬২ হাজার টাকার মতো। এক একটি ছবির দাম উঠেছে লক্ষাধিক টাকা। সোনার লকেটের দাম উঠেছে প্রায় সাত লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে, ভেঙে যাওয়া প্রেমও যে ধনকুবেরের প্রাক্তন প্রেমিকার কাছে বেশ লাভজনক হয়েই দেখা দিয়েছে, তা বলাই যায়।