যৌবন ফিরে পেতে কে না চায় বলুন! কে না চায় কলেজজীবনের ছটফটে তারুণ্যের দিনগুলোকে ফিরে পেতে! তাই বলে নাম ভাঁড়িয়ে মেয়ের পরিচয় লুকিয়ে কলেজে ভর্তি! এমনই আশ্চর্য কাণ্ড করে বসলেন এক মহিলা! ভাবছেন তো কোথায় ঘটল এমন ঘটনা? শুনে নিন।
বয়স একটা সংখ্যা মাত্র। এমন কথা তো আজকাল প্রায়শই শোনা যায়। শুনেছিলেন এই মহিলাও। আর সেই ধন্দে পড়েই জীবনের বেশ কয়েকটা বছর জেলে কাটানোর মতোই ব্যবস্থা করে বসলেন তিনি।
বয়স প্রায় পঞ্চাশের কোঠায়। আর সেই ব্যাপারটিই ঠিক মেনে নিতে পারছিলেন না এই মহিলা। ভেবেচিন্তে উপায় বের করেছ নিজেই। ভদ্রমহিলার মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক নেই অনেকদিন হল। সিদ্ধান্ত নিলেন চুরি করবেন নিজের মেয়ের পরিচয়। যেমন ভাবা তেমন কাজ। মেয়ের পরিচয়েই ভর্তি হলেন কলেজে। শুধু তাই নয়, মেয়ের নামে বের করে ফেললেন ড্রাইভিং লাইসেন্সও। আর সেই পরিচয়পত্র দিয়েই বেশ কয়েকটি স্টুডেন্ট লোনের আবেদনও করে বসলেন। তা-ও আবার বেশ বড়সড় অঙ্কের। চব্বিশ বছরের মেয়ের পরিচয় দিয়ে বেশ কয়েকজন ছেলের সঙ্গে পাতিয়ে ফেলেছিলেন সম্পর্কও। তবে শেষরক্ষা হল না।
আরও শুনুন: ৪৫ বছর পর মিলল গাড়ির হদিশ, ভেতরে ছড়ানো মানুষের হাড়… এ কোন রহস্য?
সম্প্রতি পুলিশের জালে ধরা পড়ে গিয়েছেন লরা ওগলেসবি নামে ওই মার্কিন মহিলা। সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তো বোকা বানিয়েছেন বটেই, পাড়া প্রতিবেশীতেও এতদিন ধরে বোকা বানিয়েয়েছেন লরা। মেয়ের পরিচয়ে একটি বেসরকারি লাইব্রেরিতে কাজও জুটিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। তাঁর জালে পা দিয়েছেন বেশ কয়েকজন যুবকও। তাঁদের সঙ্গে লরা পাতিয়েছেন প্রেমের সম্পর্ক, আর তা অবশ্যই মেয়ে লরেনের পরিচয়ে।
আরও শুনুন: চিত্রকর্মের সঙ্গেই নিলামে তুললেন ডিম্বাণু, অভিনব প্রদর্শনী শিল্পীর
পুরো ব্যাপারটা বেশ কিছুদিন ধরেই সন্দেহ করছিল সাদার্ন মিসৌরি পুলিশ। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে তারা। আর তার পরেই সামনে আসে গোটা বিষয়টি। সম্প্রতি লরাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে সেখানকার সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। আপাতত জীবনের অমূল্য পাঁচটি বছর গরাদের পিছনেই কাটাতে হবে লরাকে। সঙ্গে দিতে হবে বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণও। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ দাবি করে বসেছেন লরার মেয়ে লরেনও। যার পরিচয় ভাঁড়িয়েই এত কাণ্ড করেছেন মহিলা। আর এই মহিলার কথা ছড়িয়ে পড়তেই তাজ্জব গোটা বিশ্ব। নেটদুনিয়ায় অনেকেই বলছেন, ধন্যি মায়ের কাণ্ড বটে!