মহাভারতে ধৃতরাষ্ট্র ছিলেন শত পুত্রের জনক। সঙ্গে একটি মেয়েও ছিল তাঁর, নাম দুঃশলা। সব মিলিয়ে ১০১। তবে ধৃতরাষ্ট্রের সেই রেকর্ড ভেঙে ফেলেছেন এই ব্যক্তি। সব মিলিয়ে ১২৯ জন সন্তানের বাবা তিনি। শুনে বিশ্বাস হচ্ছে না নিশ্চয়ই। কিন্তু এই দাবি করেছেন তিনি নিজেই। ভাবছেন তো, কীভাবে সম্ভব? শুনে নিন সেই গল্প।
ধৃতরাষ্ট্রের রেকর্ড তো কবেই ভেঙেছেন, এ বার তার চেয়েও বড় লক্ষ্যমাত্রা নিজের সামনে রেখেছেন তিনি। বয়স ৬৬। তাতে কী…!
পিতৃত্বে রেকর্ড গড়েছেন এই ব্যক্তি। এখনও পর্যন্ত ১২৯ জন সন্তান রয়েছে তাঁর। মাতৃগর্ভে রয়েছে এখনও আরও ন-জন। সব মিলিয়ে হিসেব দাঁড়ায় ১৩৮ জন। ভাবছেন তো, কোন দৈববলে এক জীবনে এতগুলি শিশুর জন্ম দিলেন এই ব্যক্তি?
ভিকি ডোনারকে মনে আছে? সুজিত সরকার পরিচালিত এই সিনেমাটিতে মন কেড়েছিল ভিকির ভূমিকায় আয়ুষ্মান খুরানার অভিনয়। সেই গল্পে ভিকির পেশা নিয়ে বেশ হইচই পড়েছিল। ভিকি ছিলেন একজন স্পার্ম ডোনার। অর্থাৎ নিজের বীর্য টাকার বিনিময়ে দান করতেন তিনি। যার মাধ্যমে সন্তান সুখ পেতেন সন্তান ধারণে অক্ষম বহু দম্পতি।
তবে এই ভদ্রলোক নিজের বীর্য দান করে এসেছেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। এর জন্য কোনও অর্থ নেন না তিনি। তাঁর কথায়, “সন্তান জন্মানোর পরে মা ও শিশুর হাসিমুখগুলোই আমার আসল পুরস্কার।”
আরও শুনুন: ক্যামেরার সামনে হস্তমৈথুন, কীভাবে প্রস্তুতি নেন অভিনেত্রীরা?
পেশায় অঙ্কের শিক্ষক ছিলেন ক্লাইভ জোনস। তবে এখন অবসর নিয়েছেন। থাকেন ব্রিটেনে। নিজের তিনটি সন্তানও রয়েছে তাঁর। ৫৮ বছর বয়সে এসে স্পার্ম ডোনেট করার কথা ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু মুশকিল হল, ব্রিটেনের আইন অনুযায়ী সে দেশের কোনও স্পার্মব্যাঙ্ক ৪৫ বছরের বেশি বয়সের কোনও ব্যক্তির থেকে স্পার্ম নেয় না। ফলে কোনও ক্লিনিকের সাহায্য পাননি তিনি। তাতে হাল ছাড়েননি অবশ্য। সাহায্য নেন সোশ্যাল মিডিয়ার। আর সেখানেই বেশ কয়েকটি পরিবারের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়, যাঁরা বিভিন্ন কারণে সন্তান ধারণে অক্ষম। নিজের ইচ্ছাপূরণের পথ খুঁজে পান জোনস। শুরু করেন স্পার্ম ডোনেট করতে।
আরও শুনুন: চিত্রকর্মের সঙ্গেই নিলামে তুললেন ডিম্বাণু, অভিনব প্রদর্শনী শিল্পীর
এইভাবে বহু দম্পতির মুখে হাসি ফুটিয়েছেন জোনস। সেঞ্চুরি পেরিয়ে ১৫০-র দিকে এগোচ্ছেন তিনি। আরও কয়েক বছর এই কাজ চালিয়ে যেতে চান তিনি। একটা আত্মশ্লাঘাও আছে তাঁর। প্রজনন ক্ষমতার দিক দিয়ে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি সক্ষম পুরুষ তিনিই, এমনই দাবি জোনসের। পাশাপাশি অন্যদের সাহায্য করতে পারার আনন্দ তো রয়েছেই। জোনস জানিয়েছেন, একবার এক বৃদ্ধা তাঁকে ফোন করে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, তিনি নাতি-নাতনির আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন প্রায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একটি ফুটফুটে নাতনির মুখ দেখেছেন তিনি। আর তা সম্ভব হয়েছে জোনসের জন্যই। এই ছোট ছোট খুশির মুহূর্তগুলোই তাঁকে আরও উদ্বুদ্ধ করে এই কাজ চালিয়ে যেতে, বলেন ক্লাইভ জোনস।