বন্দুকের ডগায় রেখে অপহরণের কথা শুনেছেন। বন্দি করে বড়সড় পণের দাবি, শুনেছেন তা-ও। নিশ্চয়ই ভাবছেন, হয় কোনও জঙ্গি নাশকতা, নয়তো মশলা ঠাসা হিন্দি ছবির প্লট! তা এ গল্পে ঠাসা মশলা থাকলেও বন্দুক নেই। বরং আছে ধারালো গোটা পঞ্চাশেক দাঁত আর নখ। আর পণ! দাঁড়ান, দাঁড়ান। আগে অপহরণকারীর পরিচয়টা তো জেনে নিন। এই গোটা অপহরণ কাণ্ডের পিছনে রয়েছে একরত্তি একটি প্রাণী! শুনবেন নাকি সেই অপহরণের গল্প?
মিসেস স্কুবি লাঞ্চবক্স। এটাই অপহরণকারীর পোশাকি নাম। জাতিতে পোসাম, অর্থাৎ ইঁদুরের মতো দেখতে, আকারে বিড়ালের মতো একটি প্রাণী। লম্বা নাক আর রোমশ লেজ বিশিষ্ট এই প্রাণীর দেখা মেলে মূলত অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডে। সাধারণভাবে গাছেই থাকে। ‘মরা’র ভূমিকায় অভিনয় করতে জুড়ি মেলা ভার এই প্রাণীটির। এমনকি সময়বিশেষে গা থেকে বের করতে পারে পচা লাশের গন্ধও। সাধারণত জংলি হলেও এরা খুব একটা হিংস্র, তা-ও বলা যায় না। তবে গোটা পঞ্চাশেক দাঁতের কামড় খেলে সেই গ্যারান্টি নেই। তবে মোটের উপর তেমন ভয়ঙ্কর নয় এরা। তবে স্কুবি লাঞ্চবক্স কিন্তু ব্যতিক্রম।
আরও শুনুন: এই ব্রিজে উঠলেই আত্মহত্যা করে বসে পোষা কুকুরেরা, কেন জানেন?
সম্প্রতি এই পোসামটি বন্দি করে নিউজিল্যান্ডের নর্থ ইস্ট ভ্যালির ডিউনেডিনের বাসিন্দা এক তরুণীকে। নিজের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েই একদিন গাড়ি থেকে জিনিসপত্র নামাচ্ছিলেন ওই তরুণী। হঠাৎই তাঁর মনে হল, কী যেন একটা দৌড়ে গেল পায়ের উপর দিয়ে। প্রথমে ভেবেছিলেন বিড়াল-টিড়াল হবে। সেটাকে সরাতে যেতেই দেখেন একখানি পোসাম। আর তার ভাবভঙ্গি বেশ মারমুখী।
আরও শুনুন: জন্মদিনে গাওয়া হয় ‘হ্যাপি বার্থডে’, কে লিখেছিলেন এই গান?
ভয়ে তড়িঘড়ি বাড়ির ভিতরে ঢুকে আসেন তরুণী। ভেবেছিলেন পোসামবাবু পালাবেন। তবে নাছোড় স্কুবি লাঞ্চবক্স। এর পরে যতবারই ঘর থেকে বেরোনোর চেষ্টা করেছেন তরুণী, আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে তেড়ে এসেছে প্রাণীটি। একটা সময় পরে বাধ্য হয়েই পুলিশের সাহায্য নেন তরুণী।
শুনে নিন বাকি অংশ।