গাড়িতে এক ফোঁটাও পেট্রোল নেই। এমনকি গাড়ির ইঞ্জিনও বন্ধ। অথচ দিব্য ছুটে চলছে গাড়ি। শুধু ছুটছে বললে ভুল হবে, ওই অবস্থায় পাহাড়ের ঢালে উপরের দিকেই উঠছে গাড়ি। কীভাবে সম্ভব এমন? আসুন শুনে নিই।
এ যেন সেই জলে শিলা ভাসার মতোই আশ্চর্য ব্যাপার! পাহাড়ি ঢালে গাড়ি যে নিচের দিকে গড়িয়ে যাবে, তা-ই তো স্বাভাবিক। তবে এক্ষেত্রে হচ্ছে ঠিক উলটো ঘটনা। অর্থাৎ পাহাড়ের ঢালে উপরের দিকে উঠে যাচ্ছে গাড়ি। তাও আবার গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ অবস্থাতেই।
আরও শুনুন: ‘সারা সুন্দরী, সুহানা কুৎসিত’! নারীবিদ্বেষী মন্তব্য ব্যক্তির, পালটা তোপ দাগলেন নেটিজেনরাই
দৃশ্যটা যে কোনও রহস্যগল্পের ঘটনার থেকে কম রোমাঞ্চকর নয়! পাহাড়ি ঢালে দাঁড়িয়ে আছে গাড়ি। যাতে এক ফোঁটাও তেল নেই। কিংবা যার ইঞ্জিন সম্পূর্ণ বন্ধ। অথচ গাড়ি আপনাপানিই এগোচ্ছে! তা-ও নিচের দিকে নয়। উঠছে পাহাড়ের উপর দিকে। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। বাস্তবেই এমন অদ্ভুত পাহাড়ের দেখা মেলে ছত্তিসগড়ের কাওয়ারধা অঞ্চলে। সেখানকার হাইওয়ের উপরে নাকি অভিকর্ষ বিশেষ কাজ করে না। পাহাড় নিজেই অদ্ভুত ভাবে টানতে থাকে গাড়িগুলিকে। যার ফলে, ইঞ্জিন বন্ধ থাকা সত্ত্বেও নাকি ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার বেগে এগোতে থাকে গাড়ি। আর সবটাই হয় পাহাড়ের চড়াই এর দিকে।
এই অদ্ভুত বিশেষত্বের টানে প্রতি বছর অসংখ্য পর্যটক এই বিশেষ অঞ্চলে ঘুরতে আসেন। ইঞ্জিন বন্ধ রেখেও গাড়ি কেমন উপর দিকে উঠে যায়, তা দেখতে ভিড় জমান সকলেই। কেউ কেউ এর নেপথ্যে ভৌতিক প্রভাবের গল্প শোনান। আবার কারও মতে কোনও এক ধর্মগুরুর আশ্চর্য ক্ষমতার জেরে এমনটা হয়। তবে অনেকে মনে করেন আসল সত্যিটা একেবারেই আলাদা। বিশেষত বিজ্ঞানীমহলের একাংশের দাবি, এই এলাকায় রয়েছে খুবই শক্তিশালি এক চৌম্বক ক্ষেত্র। সেই চৌম্বক ক্ষেত্রই আকর্ষণ করে গাড়িগুলিকে। আর তার ফলেই বন্ধ অবস্থাতেও গাড়ি অভিকর্ষ না মেনে উঠে যায় উপরের দিকে।
আরও শুনুন: আইপিএল-এর ক্যামেরা শুধু মহিলাদেরই খোঁজে! এবার বিরক্ত খোদ মহিলারাই
অন্যদিকে ভারতের আরও একটি জায়গায় এমন অদ্ভুত চৌম্বক ক্ষেত্র আছে। সে জায়গা যদিও সকলের খুব পরিচিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক দিয়েও তার জুড়ি মেলা ভার। কথা বলছি লাদাখের এক পাহাড় সম্পর্কে। সেখানেও ইঞ্জিন বন্ধ অবস্থায় গাড়ি চলতে থাকে পাহাড়ের চড়াই এর দিকে। যা উপভোগ করার জন্য কত শত মানুষ প্রতি বছর ভিড় জমান ওই এলাকায়। তবে আসল কারণটি যে ঠিক কী, হলফ করে তার ব্যাখ্যা দিতে পারেননি কেউই। তাই সমস্ত ব্যাখ্যা, গবেষণার ঊর্ধ্বেও প্রকৃতিই যে সর্বশক্তিমান, সে কথাই বোধহয় আরও একবার মনে করিয়ে দেয় লাদাখের এই রহস্য-পাহাড়।