ভোট মানেই দীর্ঘ সময় ধরে চলা একটা প্রক্রিয়া। কখনও কখনও তা গড়ায় কয়েক দিনেও। কিন্তু এই ভোটদান পর্ব শেষ হয়ে গিয়েছিল মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই। কীভাবে? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
নির্বাচন করা সহজ কথা নয়। এমন কোনও সিদ্ধান্ত, ভবিষ্যতের দিনগুলিকে যা অনেকটাই প্রভাবিত করবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভালো করে না ভাবলে কি চলে! আর তার জন্য সময় তো লাগবেই। শুধু যিনি বা যাঁরা নির্বাচন করবেন তাঁদেরই সময় লাগবে এমন নয়। উলটোদিকে তাঁদের নির্বাচন দেওয়ার প্রক্রিয়াটি যাতে সুষ্ঠুভাবে করা যায়, তা নিশ্চিত করার জন্যেও দীর্ঘ সময় ধরে নেওয়া হয় প্রস্তুতি। দেশের ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে এই বিষয়টি ভালোমতোই চোখে পড়ে। চলতি লোকসভা ভোটের কথাই ধরুন না! সেখানে জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, রীতিমতো বছর তিনেক ধরে এই ভোট গ্রহণের প্রস্তুতি নিয়েছে তারা। এদিকে একদিন, দুদিন নয়, সাত দফায় শেষ হবে পুরো ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া। সেখানে মাত্র ৩০ সেকেন্ডে কোনও ভোট শেষ হতে পারে কেমন করে? শুনলে অবাক লাগারই কথা বটে। তাহলে খুলেই বলা যাক।
আরও শুনুন:
মেয়ে রাজনীতিতে নামবে! সম্পত্তি বেচে খরচ জোগালেন বাবা
সত্যি সত্যিই এমনটা ঘটেছিল এক গ্রামের স্থানীয় নির্বাচনে। মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই ভোটদান শেষ হয়েছিল ছোট্ট গ্রামটিতে। আসলে, ওই গ্রামে ভোটাধিকার রয়েছে মাত্র ৭ জনের। ভোটগ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু হতেই মাত্র ৩০ সেকেন্ডে ভোট দেন ওই ৭ ভোটার। এর আগেও এই নির্বাচনে তাঁরা ৩২ সেকেন্ডের মধ্যে ভোট দিয়েছিলেন। তবে নিজেদের সেই রেকর্ড নিজেরাই ভেঙে ৩০ সেকেন্ডে ভোট দিয়ে নতুন নজির গড়েন গ্রামবাসীরা। বিবিসি জানায়, ২০২৩ সালে এ ঘটনা ঘটেছিল স্পেনের লা রিওজা প্রদেশের ছোট্ট গ্রাম ভিলারোয়ায়। আসলে কোন গ্রাম কত আগে ভোট দেবে, এই নিয়ে স্পেনের গ্রামগুলির মধ্যে নাকি একরকমের প্রতিযোগিতা চলে। স্পেনের আরও একটি গ্রাম ইলান দে ভাকাসের সঙ্গে তাই অলিখিত লড়াইয়ে নেমে পড়েছিল ভিলারোয়া। সে গ্রামে অবশ্য ভোটারের সংখ্যা মাত্র ৩। তবে তারপরেও তাঁদের ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনই। ১৯৭৩ সাল থেকে ভিলারোয়ার মেয়র পদে থাকা সালভাদর পেরেজের মতে, কীভাবে ভোট দিতে হবে, সেই সমস্ত প্রক্রিয়ার বিষয়ে ভালোমতোই অবহিত গ্রামের বাসিন্দারা। সেই কারণেই পড়শি গ্রামকে টেক্কা দিয়ে নয়া নজির গড়েছে ভিলারোয়া।