প্রবাদে সাপের পাঁচ পা দেখার কথা বলা হয় বটে। কিন্তু বাস্তবে তা দেখেননি কেউই। তবে ভেড়ার পাঁচ পা কিন্তু চাইলে দেখতেও পারেন। বিশ্বাস হচ্ছে না তো? তবে আসুন, শুনে নেওয়া যাক এই আজব ভেড়ার গল্প।
নয় বছর আগেও ঘটেছিল এমনই ঘটনা। সদ্যোজাত ভেড়াটিকে দেখে চমকে গিয়েছিলেন খামারবাড়ির মালিকেরা। আর সেইজন্যই, এবার যখন একইরকম লক্ষণ নিয়ে জন্মাল আরও একটি ভেড়া, তাঁরা মনে করেছিলেন যেন আগের ভেড়াটিরই পুনর্জন্ম হয়েছে।
আরও শুনুন: চালচলন বন্য জন্তুর মতোই, ১৮ বছর বন্য জীবন কাটিয়েছিল ‘মোগলি গার্ল’
তা তাঁদের আর দোষ কোথায়! সত্যি বলতে, এই পৃথিবীতে তো এমন অনেক কিছুই ঘটে, যা আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব বলেই মনে হয়। এই ভেড়াটিই যেমন। চিরদিন তো ভেড়া নামক প্রাণীটিকে চতুষ্পদ জীব বলেই জেনে এসেছেন। কিন্তু আর বোধহয় সে কথা বলার উপায় নেই। অন্তত এই ভেড়াটিকে তো চারপেয়ে বলাই যাবে না। কারণ চারটি নয়, পাঁচ-পাঁচটি পা দিব্যি দেখা যাচ্ছে তার। হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এ কথা খাঁটি সত্যি। ২৫ বছরের মধ্যে তাঁদের খামারে একইরকম দুটি ভেড়া জন্মাতে দেখলেন নর্থাম্বারল্যান্ডের হোয়াইটহাউস খামারবাড়ির মালিকেরা। যদিও আগের ভেড়া, কুইন্টোর পঞ্চম পা-টি বেশিদিন রাখা যায়নি। কারণ সেই অতিরিক্ত পা-টি একদিকে তার পাকস্থলীর সঙ্গে লেগে গিয়েছিল। আরেকদিকে পা-টি মাটি পর্যন্ত পৌঁছানোর ফলে ভেড়াটির হাঁটতে চলতেও রীতিমতো অসুবিধা হত। শেষমেশ অতিরিক্ত পা-টি অপারেশন করে বাদ দেওয়া ছাড়া আর গতি ছিল না। তবে এই দ্বিতীয় ভেড়াটির ক্ষেত্রে তেমনটা হবে না বলেই আশা করছেন খামারের মালিকেরা। তার পঞ্চম পা-টি পাঁজরের কাছ থেকে বেরিয়েছে। তা ছাড়া সেটি আকারেও ছোট হওয়ায় মাটি থেকে বেশ খানিকটা উপরেই উঠে রয়েছে। আর তাই নিয়ে দিব্যি ছুটোছুটি করে বেড়াচ্ছে ভেড়াটি।
আরও শুনুন: সাপেরও নাকি ছিল চারখানা পা! জীবাশ্ম দেখে তাজ্জব গবেষকরা
ওই খামারবাড়ির এক মালিক হিদার হোগার্টি জানিয়েছেন, প্রথম পাঁচ পা-ওয়ালা ভেড়াটির জন্ম হয়েছিল পয়লা এপ্রিল তারিখে। ফলে অনেকের ধারণা হয়েছিল এটি নিছকই এপ্রিল ফুলের মজা। তাঁরা প্রথমে বিশ্বাস করতেই চাননি যে অতিরিক্ত পা-টি সত্যিই তার শরীরের অঙ্গ। মজার কথা হল, এই দ্বিতীয় ভেড়াটির জন্মও হয়েছে এমনই এক বিশেষ তারিখে। ইংরেজিতে যাকে টু’স ডে বলা হচ্ছে, সেই ২-২-২০২২, অর্থাৎ চলতি বছরের দোসরা ফেব্রুয়ারি জন্ম হয়েছে তার। দু-দুবার এমন পাঁচ পা-ওয়ালা ভেড়ার আবির্ভাব দেখে বেজায় খুশি খামারবাড়ির মালিকেরা।