নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়ানোর জন্য বাগান চাই। এমনই বিজ্ঞাপন দিয়েছেন এক বৃদ্ধ। তাঁর দাবি প্রতি সপ্তাহে অন্তত কয়েক ঘণ্টা ওই বাগানে নির্বিঘ্নে নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়াবেন তিনি। কিন্তু এমন অদ্ভুত দাবির কারণ কী? আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
শখের বশে মানুষ কত কিছুই না করে! কঠিন থেকে কঠিনতর বাধাও তুচ্ছ হয়ে যায় শখের সামনে। তবে নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়ানো যদি কারও শখ হয় তাহলে তা বজায় রাখা খুবই কঠিন। পৃথিবীর অধিকাংশ সভ্য দেশেই যত্রতত্র নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়ানো আইনসিদ্ধ নয়। তবু ব্রিটেনের এক বৃদ্ধ তাঁর এই অদ্ভুত শখ বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই একটা বাগান ভাড়া নিতে চান তিনি। তাঁর শখ, নিজের সেই নির্জন বাগানেই প্রতি সপ্তাহে নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়াবেন তিনি।
আরও শুনুন: কুসংস্কারের বশে মৃত বাবার দেহে প্রাণ ফেরাতে শিশুবলির উদ্যোগ, গ্রেপ্তার যুবতী
জন্ম হয়েছে নগ্ন হয়ে। আবার মৃত্যুর সময়ও সঙ্গে যাবে না কিছুই। তাই প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ রাখার জন্য নগ্ন হওয়াই শ্রেয় বলে মনে করেন অনেকে। এমনকী তাঁরা নিয়মিত নগ্ন হয়ে ঘুরেও বেড়ান। বিভিন্ন জায়গায় সভা করে নগ্নতার সঙ্গে প্রকৃতি যোগের কথাও প্রচার করেন তাঁরা। এমনই এক প্রচার সভায় অংশ নিয়ে সেই ধারনাতেই বিশ্বাস করতে শুরু করেন ৮৬ বছরের স্টুয়ার্ট। ২০০৮ সালে তিনি সিদ্ধান্ত নেন প্রতি সপ্তাহে অন্তত কিছুক্ষণ নগ্ন হয়ে সর্বসমক্ষে ঘুরে বেড়াবেন। সেই মতো দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে নিয়মিত নিজের স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ব্রিটেনের এক সমুদ্রসৈকতে যেতেন তিনি। সেখানে তাঁর মতো অনেকেই নগ্ন হয়ে সময় কাটাতেন। এতে অবশ্য কোনও সংকোচ ছিল না তাঁদের, বরং এতে স্বাচ্ছন্দ্যই বোধ করতেন তাঁরা। তবে সমস্যার শুরু হয় তাঁর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে। বাড়ি থেকে দূরে কোথাও প্রতি সপ্তাহে ঘুরতে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে তাঁর পক্ষে। শখ বজায় রাখতে নিজের বাড়ির বাগানেই নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়াতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু সেই বাগানটির চারিদিকে বড় বড় ইমারত থাকায় সেখানেও নির্বিঘ্নে ঘোরা সম্ভব হচ্ছিল না। তাই নতুন একটি বাগান চাই তাঁর।
আরও শুনুন: বিপাকে পর্ন তারকা! ‘নকল’ বন্দুক দেখে শুটিংয়ে হানা ‘আসল’ পুলিশের
বর্তমানে তাঁর একমাত্র উদ্দেশ্য নিজের এই অদ্ভুত শখটি বজায় রাখা। স্টুয়ার্ট মনে করেন নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়ানোর মধ্যে অন্যরকমের এক স্বাধীনতা রয়েছে। যা অন্যকিছুর মধ্যেই খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তাই যে ব্যক্তি তাঁকে নগ্ন হয়ে ঘোরার জন্য বাগান দেবেন তাঁকে উপযুক্ত অর্থ দিতেও প্রস্তুত তিনি। সঙ্গে তাঁর এত বছরের বাগান গড়ার অভিজ্ঞতা ভাগ করবেন বলেই জানিয়েছেন বৃদ্ধ।