ইন্টারনেট নাকি ইয়াং ছেলেপুলেদের আড্ডাঘর! কে বলে! ৮৫ বছরের ‘কুল দাদি’ যেভাবে মাতিয়ে রেখেছেন নেটদুনিয়া, তাতে অবাক হবেন ইয়াংস্টাররাও। ঠিক কী করেন তিনি? আসুন শুনে নেওয়া যাক।
পরনে আটপৌরে শাড়ি। ধবধবে সাদা চুল। দু-চোখ স্নেহমাখা। ঠাকুমা-দিদারা ঠিক যেরকম হেন তেমনই! ইন্টারনেটের দূরত্ব থেকেও তাঁকে দেখলে যেন গেরস্থালির এক গন্ধ টের পাওয়া যেয়, যেমনটি মিশে থাকে ঠাকুমা-দিদাদের আঁচলে। সেই তিনিই হয়েছেন নেটদুনিয়ার ‘কুল দাদি’। আর নামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তিনিও পরে নিয়েছেন স্টাইলিশ একখানা সানগ্লাস! কুল-ই বটে!
আরও শুনুন: ১৬ দিনের অপেক্ষাতেও হল না শেষ দেখা, উত্তরকাশীতে শ্রমিককে উদ্ধারের আগেই মৃত্যু বাবার
তা কে তিনি? ৮৫ বছরের এই বৃদ্ধার নাম বিজয় নিশ্চল। রান্নাবান্না ভালই জানতেন। কিন্তু তা যে তাঁকে এমন জনপ্রিয় করে তুলবে, বোধহয় আগে ভাবেননি। একদিন নাতি তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন ইউটিউবে একটা চ্যানেল খোলার। তা করবেন-টা কী? কেন, দেবেন রান্নাবান্নার টিপস! শেখাবেন কৌশল। পরামর্শ মনে ধরে তাঁর। খোলা হল চ্যানেল ‘দাদি-কি-রসুই’। বিজয় রান্নাবান্না শিখেছিলেন তাঁর বাবার কাছে। আর রান্নাবান্না তো স্রেফ হাতের গুণ নয়। তা এক সংস্কৃতিও বটে। বহুজনের বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষা-কল্পনা মিশে থাকে এক-একটি রেসিপিতে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে পরে। আজকালকার সময়ে অনেকেরই হাতে সময় তেমন থাকে না। ব্যস্ততার দরুন রান্নাবান্না করাও হয় না। তবে, অবকাশ পেলে অনেকেই রান্না করেন। তবে, শুধু ইচ্ছে থাকলেই তো হয় না। দরকার রেসিপি এবং পরামর্শ। মা-ঠাকুমা থাকলে তাঁদের থেকেই ফোনে টুকিটাকি জেনে নেওয়া যায়। আর না থাকলে, ইউ-টিউবই ভরসা। আর সেখানে যদি এরকম একজন ঠাকুমারই পরামর্শ মেলে, তাহলে তো কথাই নেই! নেটিজেনদের ভারি প্রিয় হয়ে ওঠে এই ঠাকুমার রান্নাঘর। হু-হু করে বাড়তে থাকে চ্যানেলের অনুগামী। বলতে গেলে রান্নার গুণে রাতারাতি স্টার হয়ে যান বৃদ্ধা। আর যেভাবে তিনি কথা বলেন, ক্যামেরার সামনে আসেন তা-ও বেশ মনোগ্রাহী। তাঁর অনুগামীরা তাই বলেন, দাদি যেরকম ‘কুল’ তাতে ইয়াং জেনারেশনও হার মানবে। সত্যিই তাই! দিনদিন তাঁর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি যেন সেই কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। আর জানান দিচ্ছে, বয়স তো স্রেফ সংখ্যা মাত্র। আর প্রযুক্তির সবটা খারাপ নয়। গুণীর কদর মিলবেই, ‘কুল দাদি’ প্রতিদিন সেই কথাটাই যেন মনে করিয়ে দেন নেটদুনিয়াকে।