কথায় আছে, রক্তদান জীবনদান। তাই অনেকেই নিয়মিত রক্তদান করেন। তবে রক্তদান করেই বিশ্বরেকর্ডের খাতায় নাম তুলেছেন ৮০ বছরের এই প্রৌঢ়া। এখনও পর্যন্ত মোট ২০৩ ইউনিট রক্তদান করেছেন তিনি। আসুন শুনে নিই, তাঁর কথা।
বয়স পেরিয়েছে ৮০। তবু নিয়মিত রক্তদানের অভ্যাস ছাড়েননি প্রৌঢ়া। যার জেরে তাঁর নামও উঠেছে বিশ্বরেকর্ডের খাতায়। হিসাব বলছে, এতদিনে মোট ২০৩ ইউনিট রক্তদান করেছেন এই বৃদ্ধা। কতশত রোগী যে তাঁর দিন করা রক্তে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন, সে কথা বলাই বাহুল্য।
আরও শুনুন: একটি গাছের পরিচর্যায় খরচ ১২ লক্ষ টাকা, দিনরাত পাহারা দেয় সশস্ত্র প্রহরী, কেন জানেন?
জোসেফিন মিচালুক। মার্কিন মুলুকের এই মহিলা প্রথম রক্তদান করেছিলেন মাত্র ২২ বছর বয়সে। তারপর থেকে টানা ৬ দশক ধরে নিয়মিত রক্তদান করে আসছেন তিনি। তাঁর রক্তের গ্রুপটিও খুবই প্রচলিত। রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকার প্রায় ৩৭ শতাংশের নাগরিকের শরীরেই এই গ্রুপের রক্ত বইছে। তাই হাসপাতালগুলোতে এর চাহিদাও যথেষ্ট বেশি। সেই কারণেই রক্তদান করা কখনও ছাড়েননি জোসেফিন। কেবলমাত্র অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালীন রক্তদান থেকে বিরত ছিলেন ৪ সন্তানের মা এই মহিলা। সেই কবছর বাদ দিলে নিয়মিত রক্তদান করেছেন তিনি। চিকিৎসকেরাই তাঁকে এই কাজের জন্য উৎসাহ জুগিয়েছেন। তাঁদের মতে, নির্দিষ্ট সময় অন্তর রক্তদান করলে কোনও ক্ষতি হয় না। বরং এতে শরীর ভালোই থাকে। একইসঙ্গে দান করা রক্তে অন্যান্য রোগীদেরও উপকার হয়। যদিও এইভাবে যে একদিন বিশ্বরেকর্ডের খাতায় নাম তুলে ফেলবেন এমনটা একেবারেই ভাবেননি জোসেফিন।
আরও শুনুন: খরচ নেই এক পয়সাও! সাহসে ভর করে সারা দেশ একাই ঘুরছেন তরুণী
স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, প্রথমবার দিদির সঙ্গে রক্তদান করতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে বুঝতে পারেন এই কাজের প্রয়োজনীয়তা ঠিক কতটা। তারপর থেকে রক্তদান করা প্রায় অভ্যাসে পরিণত হয়। এমনকি বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে গিয়েও সেই পুরনো অভ্যাস ছাড়তে পারেননি জোসেফিন। ৮০ বছর বয়সেও নিয়মিত রক্তদান করতে যান। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর এহেন মনের জোর দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হন। জোসেফিনও রক্তদানের উপকারিতা সকলকে বোঝান। কেবল নিজে রক্তদান করাই নয়, রক্তদান করার জন্য বাকিদের উৎসাহও উগিয়ে চলেছেন অশীতিপর এই মহিলা।