সকালে চা-টা ঠিকমতো না পেলে দিনই শুরু হয় না! এমন ধারণা অনেকেরই রয়েছে। স্রেফ সকালের চা নয়, সারাদিনে বেশ কয়েকবার চা প্রয়োজন, এমন মানুষের সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। অনেকে আবার মনে করেন, এই অভ্যাস স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু এই চায়ের মধ্যেই নাকি লুকিয়ে আছে ১০০ বছর বেঁচে থাকার মন্ত্র। সম্প্রতি এমনই দাবি করেছেন এক শতায়ু মহিলা। ঠিক বলেছেন তিনি? আসুন শুনে নিই।
১০০ বছর। নেহাতই কম সময় নয়। অনেকেই মনে করেন, এতগুলো বছর বেঁচে থাকা স্বাভাবিক নয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে শারীরিক ক্ষমতা। সেক্ষেত্রে কারও বয়স যদি ১০০ হয়, তাহলে তো কথাই নেই! কিন্তু ব্যতিক্রম এই মার্কিন মহিলা। ১০০ বছর বয়সেও তিনি দিব্যি সুস্থ রয়েছেন। সম্প্রতি নিজের সুস্থ থাকার রহস্যই ফাঁস করেছেন তিনি।
আরও শুনুন: দু’বছর ধরে আস্তানা পাঁচতারা হোটেলে, ৫৮ লাখের বিল না মিটিয়েই চম্পট যুবকের
বিগত ৬৫ বছর ধরে ইংল্যান্ডের বাসিন্দা আইরিন। সম্প্রতি ১০০-এ পা দিয়েছেন। সেই উপলক্ষ্যে বিশেষ জন্মদিনের পার্টি আয়োজন করেছিল তাঁর পরিবারের লোকজন। সেখানেই সকলের সামনে নিজের দীর্ঘজীবনের রহস্য ফাঁস করেছেন তিনি। অন্যান্য পার্টির মতোই এখানেও ব্যবস্থা ছিল মদ্যপানের। কিন্তু সেসব ছুঁয়েও দেখেননি বৃদ্ধা। তাঁর পছন্দ স্রেফ চা। যদিও সাধারণ কোনও চা নয়। ‘টাইফু টি’ এই নামের এক বিশেষ চা খেয়েই দিন কাটে তাঁর। হ্যাঁ, খাবার বলতে তিনি শুধুমাত্র চা পান করেন। তাও দিনে ৮ কাপ। আর এতেই নাকি দিব্যি রয়েছেন তিনি। এই বয়সে পৌঁছে অনেকেই শারীরিক ভাবে অক্ষম হয়ে পড়েন। নিজের কাজটুকুও ঠিকমতো করতে পারেন না। সেখানে আইরিনের কোনও বয়স জনিত অসুবিধা নেই বলেই দাবি পরিবারের।
আরও শুনুন: প্রতি বছর উচ্চতায় বাড়ছে শিবলিঙ্গ, কোন মন্দিরে রয়েছে এমন আশ্চর্য লিঙ্গ?
এখনও নিজেকে কাজের মধ্যে ব্যস্ত রাখেন বৃদ্ধা। মাত্র ১৯ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। স্বামী খনিতে কাজ করতেন। তাই সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব ছিল তাঁর উপরেই। শুধু তাই নয়, ঘরের বাইরেও বিভিন্ন কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতেন আইরিন। কখনও স্থানীয় দোকানে সাহায্যের কাজ কখনও বা অন্য কিছু। সেই অভ্যাস যায়নি এখনও। তবে বর্তমানে বাড়ির বাইরে বিশেষ বেরোন না। ঘরের মধ্যেই টুকটাক কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন। আর সবসময় তৈরি করে রাখেন চা। নিজে তো খানই, যে কেউ বাড়িতে এলে চা না খাইয়ে ছাড়েন না। এভাবেই হাসিখুশি অবস্থায় আগামী দিনগুলো কাটিয়ে দিতে চান আইরিন। জন্মদিনের পার্টিতে পরিবার পরিজনের সামনে এই বার্তাই দিয়েছেন শতায়ু বৃদ্ধা।