দেশের বুক থেকে মুছে গিয়েছে ৫০টি ঐতিহাসিক স্মারক বা মনুমেন্ট। কেন্দ্রের সংরক্ষণের আওতায় থাকলেও হদিশ মিলছে না তাদের। এমনটাই দাবি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বা এএসআই-এর। আসুন, শুনে নেওয়া যাক।
দেশে মোট ৩৬৯৩টি মনুমেন্টকে সংরক্ষণের আওতায় এনেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু সেইসব স্মারকের মধ্যে থেকেই অন্তত ৫০টির কোনোরকম খোঁজ মিলছে না বলে সম্প্রতি জানাল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া বা এএসআই। ‘ভারতে নিখোঁজ স্মৃতিস্তম্ভ এবং স্মৃতিস্তম্ভের সুরক্ষা সম্পর্কিত সমস্যা’, এই শিরোনামে সংসদে এক রিপোর্ট জমা দিয়ে এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রের সংস্কৃতি মন্ত্রক। রিপোর্টে মতামত জানিয়েছেন সংস্কৃতি সচিব গোবিন্দ মোহন, এএসআইয়ের ডিরেক্টর জেনারেল ভি বিদ্যাবতী ও এএসআইয়ের প্রবীণ আধিকারিকেরা। স্মারকগুলি কী কী, এবং সেগুলি কোনটি কতটা প্রাচীন, সে বিষয়ে অবশ্য বিস্তারিত তথ্য মেলেনি কোনও তরফ থেকেই।
আরও শুনুন: ‘ধর্ষকদের থেকেও কি আমি বিপজ্জনক!’ বিজেপি নেত্রীকে তোপ উরফির
কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, এই খোঁজ না মেলার কারণ হল, ওই ৫০টি ঐতিহাসিক স্মারক বা মনুমেন্ট বিভিন্নভাবে লুপ্ত হয়ে গিয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি স্মারকের অবলুপ্তি হয়েছে নগরায়ণের জেরে, আরও ১২টি স্মারক ডুবে গিয়েছে কোনও না কোনও জলাশয়ের অতলে। দুর্গমতার কারণেও চিহ্নিত করা যায়নি কোনও কোনও স্মারককে। কোনও কোনও স্মারককে স্থানান্তরিত করাও হতে পারে, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। কেন্দ্রীয় সংস্থার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু উত্তরপ্রদেশেই অবলুপ্ত হয়েছে ১১টি স্মারক। দিল্লি এবং হরিয়ানায় ২টি করে স্মারকের কোনও চিহ্ন নেই আর। পশ্চিমবঙ্গ থেকেও মুছে গিয়েছে ১টি ঐতিহাসিক স্মারক৷ এ ছাড়া নিখোঁজের তালিকায় রয়েছে অসম, অরুণাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডও।
আরও শুনুন: ২০২২ সালে নেটদুনিয়ায় সবথেকে বেশি কাকে খুঁজেছেন ভারতীয়রা?
এর আগেও, ২০১৩ সাল নাগাদ, ৯২টি মনুমেন্টকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গিয়েছিল। দেশের স্বাধীনতা লাভের পর সেটিই ছিল প্রথম এ জাতীয় শুমারি। এবার ফের উঠল স্মারক হারিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। এই মর্মে সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এবার দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে কেন্দ্রীয় সরকার, দাবি এএসআই সূত্রের৷