একটি রোগের চিকিৎসা করতে গিয়ে অন্য সমস্যা নিয়ে বাড়ি ফিরল রোগী। হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার করাতে গিয়ে বড়সড় ভুল করে ফেললেন চিকিৎসক। বছর চারেকের খুদের নির্বীজকরণ প্রক্রিয়া বা ভ্যাসাক্টমি সেরে ফেললেন তাঁরা। যা জানার পরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে রোগীর পরিবার। কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগ তুলে তাঁরা চেয়ে বসেছেন বড়সড় ক্ষতিপূরণ। কোথায় ঘটেছে এই ঘটনা, শুনে নিন।
নিরাময় খুঁজতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল বছর চারেকের ছোট্ট শিশুটি। তবে ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য বড়সড় সমস্যা শরীরে নিয়ে বাড়ি ফিরেছে সে। হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে তার শুক্রাণু বহনকারী নালিদুটিই কেটে বাদ দিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। যার ফলে সরাসরি সন্তানের পিতা হওয়া ভবিষ্যতে আর তার পক্ষে সম্ভব নয়।
আরও শুনুন: কন্যাসন্তান জন্মালেই রোপণ ১১১টি চারা গাছ, কোথায় পালিত হয় এই প্রথা?
সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটেছে আমেরিকার টেক্সাসের একটি হাসপাতালে। অস্ত্রোপচারের এই বিরাট ভুলের বিষয়টি হাসপাতালের তরফেই জানানো হয়েছিল খুদের বাবা-মাকে। এর ফলে অদূর ভবিষ্যতে কী কী সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে ওই খুদে, সে ব্যাপারেও জানানো হয়।
আর তার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন রোগীর আত্মীয়েরা। অস্ত্রোপচার করেছেন যে-চিকিৎসক, তাঁকে স্বভাবতই কাঠগড়ায় তুলেছেন রোগীর পরিজনেরা। উঠেছে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগও।
চার বছরের খুদে আপাতত ব্যাপারটি না বুঝলেও, পরবর্তীকালে বিষয়টি তাঁর মানসিক সমস্যার কারণ হতে পারে বলেও দাবি পরিবারের। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে সন্তানের জন্য চিকিৎসাবিজ্ঞানের অন্যান্য পদ্ধতির সাহায্যও নিতে হতে পারে তাকে। যা যথেষ্ট খরচসাপেক্ষ। আর সেসব খতিয়ে দেখেই হাসপাতাল ও অভিযুক্ত চিকিৎসকের কাছে বড়সড় ক্ষতিপূরণ দাবি করে বসেছেন তাঁরা।
আর সেই অঙ্কটা কিন্তু বেশ অবাক করার মতোই। সব মিলিয়ে হাসপাতাল ও ওই চিকিৎসকের কাছ থেকে ৪ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন তাঁরা। এমন ঘটনার সাপেক্ষে সর্বাধিক যে অঙ্ক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দাবি করতে পারে রোগীর পরিবার, তেমন অঙ্কই চাওয়া হয়েছে রোগীর পরিবারের তরফে। ছেলেটির তরফে আইনজীবীর দাবি, এটা কোনও সাধারণ ভুল নয়। কীভাবে কোনও কিছু না দেখে, না শুনে ছুরি-কাঁচি চালিয়ে দিলেন চিকিৎসক, সে ব্যাপারেও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। স্বভাবতই চিকিৎসকের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে এই ঘটনায়।
আরও শুনুন: বাড়িতে ছাড়া হবে শ-খানেক আরশোলা, তাতেই মালিকের আয় দেড় লক্ষ টাকা, আজব ঘোষণা সংস্থার
আদৌ ক্ষতিপূরণের অঙ্ক ওই খুদের পরিবার পাবেন কিনা তা জানা নেই। তবে ছেলেটির ভবিষ্যৎ নিয়ে আপাতত ঘোর অনিশ্চয়তায় পরিবার। বড় হয়ে বিষয়টি জানার পর সে তা আদৌ গ্রহণ করতে পারবে কিনা তা নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা। এ ব্যাপারে মুখ খুলতে না চাইলেও ওই খুদের সুস্থতা কামনা করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।