২৩ বছরের যুবককে বিয়ে করেছেন ৩৭ বছরের এক মহিলা। যুবকের ঔরসে গর্ভধারণও করেছেন তিনি। অথচ সম্পর্কের দিক দিয়ে তাঁরা মা ও ছেলে। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এমনই এক ঘটনা। নেটদুনিয়া কী বলছে তাঁদের এই কাণ্ড দেখে? আসুন শুনে নিই।
দুজনের বয়সের পার্থক্য প্রায় ১৫ বছর। সম্পর্কে আবার তাঁরা মা ও ছেলে। আসলে ওই যুবকের সৎমা ওই মহিলা। কিন্তু নিজের সৎছেলের ঔরসেই গর্ভধারণ করেছেন এক মহিলা। সৎ ছেলেকে বিয়েও করেছেন তিনি। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে সেই ঘটনা।
আরও শুনুন: মহিলা না পুরুষ! দেখে বোঝার উপায় নেই, কেরলের পুজো দেওয়ার প্রথায় বিস্মিত নেটদুনিয়া
কথা বলছি, রাশিয়ান ব্লগার মেরিনা বালমাসেভা-র সম্পর্কে। বছর ৩৭ এর এই মহিলাই তাঁর সৎ ছেলে ভ্লাদিমির ভোভা-কে বিয়ে করেছেন। আসলে আগের সম্পর্কে থাকাকালীন তাঁর কোনও সন্তান ছিল না। দত্তক নিয়েছিলেন ৫ শিশুকে। এঁদের মধ্যেই ছিল ভ্লাদিমির নামে এক খুদে। মেরিনার কাছে সে যখন প্রথম এসেছিল তখন তার বয়স মাত্র সাত। সন্তান স্নেহেই তাকে বড় করেছিলেন মেরিনা। কিন্তু একটা সময়ের পর তিনি বুঝতে পারেন, ভ্লাদিমির তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে। আর সেই আকর্ষণ যে শারীরিক, সে কথাও টের পেয়েছিলেন তিনি। তবে এক্ষেত্রে ভ্লাদিমিরকে বাধা দেননি তিনি। উলটে তাঁকে প্রশ্রয়ই দিয়েছিলেন তিনি। কিছুদিনের মধ্যেই দুজনের প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যা আরও জোরালো হয় মেরিনার প্লাস্টিক সার্জারির পর। নিজেকে মোহময়ী করে তোলার জন্য এই সার্জারি করিয়েছিলেন তিনি। যার মধ্যে স্তন প্রতিস্থাপনও ছিল। মেরিনার দাবি, সার্জারির পর তাঁর প্রতি ভ্লাদিমিরের প্রেম নাকি আরও বেড়ে যায়। একটা সময়ের পর তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। যদিও এতে কোনও আপত্তি জানাননি মেরানির স্বামী, এমনটাই দাবি মহিলার।
আরও শুনুন: ব্যবহার হয়নি সিমেন্ট, ইন্দোরের এই কাচের মন্দির বিস্ময় জাগায় ভক্তদের
বছর দুয়েক আগে ভ্লাদিমির ও মেরিনা এক সন্তানের জন্ম দেন। এবার আরও এক সন্তানের অপেক্ষায় তাঁরা। তবে নেটদুনিয়ার একাংশ তাঁদের এই সম্পর্ক তির্যক ভাবেই দেখেছে। নিজের সন্তানসম কাউকে এভাবে বিয়ে করা একেবারেই উচিত হয়নি মেরিনার, এমনটাই মত নেটদুনিয়ার একাংশের। আবার অনেকেই তাঁর এই কাজে সমর্থন জানিয়েছেন। যদিও নেটদুনিয়ার এইসব মন্তব্যে কান দিতে নারাজ মেরিনা। তাঁর দাবি, দুজন দুজনকে ভালোবেসে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই একে ভুল বলে মানতে নারাজ তিনি। একইসঙ্গে প্রাক্তন স্বামীর কাছেও আর ফিরে যেতে চান না বলেই জানিয়েছেন ওই মহিলা।