কথায় আছে, প্রেম কখনও বয়স দেখে হয় না। বাস্তবেও দেখা গেল তেমনটাই। বছর ২৪-র এক তরুণী মন দিয়েছেন ৫৪ বছরের এক ব্যক্তিকে। তার জন্য নিজের প্রেমিকের হাত ছাড়তেও দ্বিধা করেননি তিনি। আর তারপরে ঘর বেঁধেছেন ওই ব্যক্তির সঙ্গেই। কীভাবে সম্ভব হল এমন অসম বয়সের প্রেম? আসুন শুনে নিই।
দুজনের বয়সের পার্থক্য ৩০ বছর। কিন্তু তাঁদের মনের দূরত্ব, নেই বললেই চলে। তাই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। ২৪ বছরের এক তরুণী ভালোবেসে বিয়ে করেছেন ৫৪ বছরের এক ব্যক্তিকে। অথচ দুজনেরই অতীত জড়িয়ে আছে অন্য সম্পর্কে।
আরও শুনুন: এক দোকানে টানা দশ বছর পিৎজা অর্ডার, কর্মীরাই প্রাণ বাঁচাল সেই একনিষ্ঠ ক্রেতার
সিনেমার গল্পে এমন অদ্ভুত প্রেমের কথা প্রায়শই শোনা যায়। কিন্তু বাস্তবে যা ঘটেছে, তা সিনেমার গল্পকেও হার মানাবে। বছর ২৪-এর আমান্ডা ক্যানন মার্কিন মুলুকের ক্যারোলিনা প্রদেশের বাসিন্দা। কলেজে পড়াকালীন, সেখানকার অধিকাংশ যুবতীর মতো তাঁর সঙ্গেও এক সমবয়সি যুবকের সম্পর্ক ছিল। সেই প্রেমিককে বিয়ের কথাও ভেবেছিলেন আমান্ডা। কিন্তু ২০১৭ সালের এক ঘটনা তাঁর সেই ভাবনা সম্পূর্ণ বদলে দেয়। ঘুরতে গিয়ে নিজের মায়ের বয়সি এক ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। প্রথম দেখাতেই বছর ৫৪-র ওই ব্যক্তিকে বেশ পছন্দ হয় আমান্ডার। প্রাথমিক আলাপের পর দুজনের মধ্যেই বেশ গভীর বন্ধুত্ব তৈরি হয়। কিছুদিনের মধ্যে এস নামের ওই ব্যক্তি নিজেও বুঝতে পারেন আমান্ডাকে তাঁর মনে ধরেছে। অথচ তিনি নিজেই দুই সন্তানের বাবা। যাঁদের বয়স আমান্ডার থেকে মাত্র কয়েক বছর কম। তাই এত কমবয়সি কারও সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়াতে খানিক দ্বিধায় ছিলেন এস-ও। প্রথম স্ত্রী-র সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর তিনি পণ করেছিলেন আর কখনও বিয়েই করবেন না। কিন্তু ওই যে কথায় আছে, ‘প্রেম যে কাঁঠালের আঠা, লাগলে পরে ছাড়ে না’! এঁদের সঙ্গেও তাই হল। বছর চারেক মেলামেশার পর দুজনেই বুঝতে পারলেন, তাঁরা একে অন্যের প্রেমে রীতিমতো হাবুডুবু খাচ্ছেন। তাই দুজনে মিলে নিলেন বিয়ের সিদ্ধান্ত ।
আরও শুনুন: কী কাণ্ড! মাছ খেতে গিয়ে বিপত্তি, কাঁটাচামচ কামড়ে ধরল ‘জ্যান্ত মাছ’
ততদিনে এস-এর অতীত সম্পর্কে সবটাই জেনে ফেলেছেন আমান্ডা। তাঁর প্রেমিকের যে দুই সন্তান রয়েছে সেকথাও আমান্ডার অজানা ছিল না। তবু সব ঊর্ধ্বে ভালোবাসাকেই ঠাঁই দিয়েছেন দুজনেই। আর তাই, শেষমেশ যাবতীয় দ্বিধা কাটিয়ে নতুন জীবন শুরু করেছেন দুজনে। যদিও এই অসম বয়সের প্রেমের গল্প প্রকাশ্যে আসতেই নেটদুনিয়ায় বিভিন্নরকমের মন্তব্যের ঝড় বয়েছে। অনেকেই এঁদের সম্পর্কটাকে ভালো চোখে দেখেননি। অনেকের মতে শুধুমাত্র টাকার লোভে এমন কাজ করেছেন আমান্ডা। কিন্তু এইসব তির্যক মন্তব্যকে পাত্তাই দেননি নব দম্পতি। নিজেদের পারফেক্ট কাপল ভেবেই দিব্যি সুখে শান্তিতে রয়েছেন তাঁরা।