সালতামামিতে কি শুধু বড় বড় ঘটনাই আসবে? তা কেন! নেহাত ছাপোষা ঘটনাও তো তোলা থাকে অন্তরমহলে। বছরের বেলাশেষে সেরকমই ঘটনার কথা শোনালেন সংবাদ প্রতিদিন শোনো-র শ্রোতারা। দ্বিতীয় পর্বে গল্প শোনালেন শ্রেয়সী বটব্যাল, আত্রেয়ী ভৌমিক এবং রাজেশ কুমার।
২০২৩ শেষ হয়ে এল। বছর জুড়ে নানা ঘটনার ঘনঘটা। তার কটাই বা মনে থাকে! আবার এমন অনেক কিছুই ঘটে, যা খবরের কাগজে জায়গা পায় না। তবু সেই সব দৃশ্য ভোলা যায় না। মনে থেকে যায় আজীবন। সংবাদ প্রতিদিন শোনো খোঁজ করেছিল সেই ব্যক্তিগত সালতামামি-র।
নেহাতই ছাপোষা তবু মনে-থেকে-যাওয়া তিনটে ঘটনা দিয়ে সাজানো এই পর্ব। বালি থেকে শ্রেয়সী বটব্যাল ভাগ করে নিয়েছেন এক মনকেমনিয়া অভিজ্ঞতা। লোকাল ট্রেনে যেতে আসতে বৃহন্নলাদের সঙ্গে দেখা হয় আমাদের অনেকেরই। টাকা চাওয়ার জোরাজুরিতে উত্যক্ত হই অনেকসময়েই। কিন্তু একটু মানবিক ছোঁয়া যে সেই চাওয়া-পাওয়ার দূরত্ব মুছে দিতে পারে, তেমনই এক ঘটনার কথা জানিয়েছেন শ্রেয়সী।
কোন্নগর থেকে আত্রেয়ী ভৌমিক আবার জানিয়েছেন এক লড়াইয়ের গল্প। চারপাশের প্রচুর পাওয়ার ভিড়ে না-পাওয়াকে মানুষ কীভাবে সামলায়, তা আমাদের চোখ এড়িয়ে যায় প্রায়শই। তেমনই না-পাওয়ার সঙ্গে যুঝতে থাকা একটি বাচ্চা, যে যাবতীয় প্রতিকূলতা সয়েও লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে যাচ্ছে না, তার কথাই শুনিয়েছেন আত্রেয়ী। করুণা নয়, জিতে যাওয়ার আশ্বাস জাগিয়ে তোলে এই ছবি।
আরেকরকম আশ্বাসের গল্পই শুনিয়েছেন চন্দননগর থেকে রাজেশ কুমার। যাদের বাড়ি হারিয়ে যায়, তারা যে একদিন ঠিক বাড়ি খুঁজে পায়, সেই আশার কথাটুকু জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর আশাই তো আরও একটা নতুন বছরকে পাথেয় জোগাতে পারে। সেই আশা আর আশ্বাস কারও একার নয়, আমাদের সকলেরই গন্তব্য।